আশ্চর্য মহাকাশ! অন্তত এই ব্রহ্মান্ডে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে কত না অজানা ঘটনা। যা সবসময় জানা বা বোঝা আমাদের পক্ষে অসাধ্য। তবে মাঝেমধ্যেই জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের দেওয়া নানা তথ্য এই অজানা ব্রহ্মান্ড সম্পর্কে আমাদের জানতে সহায়তা করে।
সম্প্রতি এই সুবিশাল মহাকাশ সম্পর্কে অজানা তথ্য এবং চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
নাসার জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের টুইটারে শেয়ার করা ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মহাকাশের অন্ধকার মেঘমুক্ত আকাশের অসংখ্য তারার সমাবেশ। আমাদের সৌরজগতের এই ছায়াপথে বা মিল্কিওয়েতে হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে ধরা পড়েছে মহাকাশের অদ্ভুত এক শব্দ। যাকে জ্যোতির্বিদরা সোনিফিকেশন বলে বর্ণনা করেছেন।
টেলিস্কোপ ব্যবহারকারীরা প্রায় ৪০০ আলোক-বর্ষ জুড়ে ওই অঞ্চল থেকে নক্ষত্রদের ডেটা বা আওয়াজ শুনতে পারেন। নাসার চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি, হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং স্পিজিটর স্পেস টেলিস্কোপের “একক” হিসাবে বা একসঙ্গে কাজ করে।
প্রতিটি চিত্র পৃথিবী থেকে প্রায় ২৬,০০০ আলোক-বর্ষ দূরের ওই অঞ্চলে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা প্রকাশ করে। হাবলের চিত্রটি শক্তিশালী অঞ্চলগুলির রূপরেখা তৈরি করে যেখানে নক্ষত্রের জন্ম হচ্ছে, অন্যদিকে স্পিটজারের ইনফ্রারেড চিত্রটিতে জটিল কাঠামোযুক্ত ধূলিকণা মেঘ দেখায়। চন্দ্রের এক্স-রেগুলি ধনু বিস্ফোরণ থেকে ধনাত্মক এ * থেকে কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রীতে উত্তপ্ত গ্যাস বিস্ফোরণের ছবি প্রকাশ করেছে।
আর এই হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে মিল্কিওয়ের ডেটা সংগ্রহ করার পর নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা টুইটারে একটি অডিও পোস্ট করেছেন। নাসার টুইটার পেজে শেয়ার করা ওই অডিওটি থেকে শোনা গিয়েছে, মহাকাশের অদ্ভুত শিহরণ জাগানো শব্দ বা আওয়াজ।
যেন অনেকটা হরর মুভির ব্যাকগ্রাউন্ড সাউণ্ড যেমন হয় ঠিক তেমন আওয়াজ । একান্তে ওই আওয়াজ যে কেউ শুনলে ভয় পেতে বাধ্য। তবে মহাজাগতিক এই ঘটনার অডিও ভাইরাল হতেই নাসার বিজ্ঞানীদের বাহবা দিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার কমেন্টের মাধ্যমে তাঁদের প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন।
সব মিলিয়ে বলা চলে, গোটা বিশ্ব যখন করোনায় ত্রস্ত তখন মহাকাশে ঘটে চলা নানা অজানা ঘটনা চাক্ষুষ করতে সাহায্য করছে নাসা। এই অতিমারী পরিস্থিতি তৈরি না হলে এতকিছু দেখা বা শোনার সময় কোথায়?