সোমবার বিকালে বিধ্বংসী আগুন লাগে কয়লাঘাটার রেল অফিসে। রাত১১ টা নাগাদ সাত জনের মৃত্যুর খবর মেলে। মঙ্গলবার সকালে টুইট করে মোদী বলেন, “কলকাতায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় দুঃখিত। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। আশা করছি, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।”
সোমবার গভীর রাতে মমতার বক্তব্যের পালটা দেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল রেল সহায়তা করেনি। এসব খারিজ করে দিয়ে তিনি বলেন রেল সমস্ত প্রকার সাহায্য করছে। তিনি এই কথা জানিয়েছেন টুইট করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাত সাড়ে ১১.৩০টায় করা মন্তব্যর পালটা রেলমন্ত্রী দেন রাত ১.১৯ মিনিটে।
রেলমন্ত্রী টুইট করে লেখেন, ‘মৃত নয়জনের পরিবারকে আন্তরিকভাবে সমবেদনা জানাব। রেলের জেনারেল ম্যানেজার সহ একাধিক কর্তা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সব কাজ করা হয়েছে। রাজ্যর সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ কয়লাঘাটায় পূর্ব রেলের ওই অগ্নিদগ্ধ অফিসের সামনে যান। পৌঁছে প্রথমে তিনি ঘটনাস্থল দেখেন, দমকল ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন । এরপর ঘটনার প্রতি এবং মৃতদের প্রতি দুঃখপ্রকাশ করেন। তারপর তিনি বলেন , ‘ ‘দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না, তবে রেলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়নি।’ ওইদিন রেল কর্তা আধিকারিকদের অনুপস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিস্মিত সে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি এও বলেছিলেন, ‘‘এটা রেলের ভবন। অনেক পুরনো। এখানে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মোট ৭ জনের (তখনও পর্যন্ত) মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। দমকলের কাছে শুনেছি, তাঁরা লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েছিলেন। সেই লিফটই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এবং তাঁরা ঝলসে মারা যান।’’
রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা এও বলেছিলেন, ‘‘এটা পুরোটাই রেলের জায়গা। কিন্তু এখনও তাঁরা কেউ আসেননি। আমাদের দমকলের পক্ষ থেকে একটা মানচিত্র চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা দেওয়া হয়নি। দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।’’