চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মোদী। শনিবার তিনি সভা করেন কৃষ্ণনগরেও। এরপর একদিন বাদ দিয়ে ফের বাংলায় আসছেন মোদী। এবার লক্ষ্য দক্ষিণবঙ্গ। বর্ধমান, কল্যানী ও বারাসাতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রথমে পশ্চিম বর্ধমানের তালিতে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর আসবেন নদীয়ার কল্যানীতে। সেখানে সভা সেরে তিনি আসবেন উত্তর ২৪ পরগণায়। সেখানকার কাছারি ময়দানে জনসভা করবেন তিনি।
সোমবারের পর আবার ১৭ তারিখ অর্থাৎ রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটের দিন রাজ্যে আসবেন মোদী। সেদিন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে সভা করবেন তিনি। এছাড়া আরও দু’বার বঙ্গ সফরে আসতে পারেন মোদী। এমনকি একবার কলকাতা ও বোল্পুরেও কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
অন্যদিকে আজ ভোটপ্রচারে কড়া টক্কর হতে যাচ্ছিল বারাসতে। কারণ, মোদী এদিন যখন কাছারি মাঠে সভা করবেন। কিছুদূরেই সভার প্রস্তুতি ছিল মমতারও। ফলে জমজমাট নাটক হওয়ার অপেক্ষা ছিল। মমতা সভা করার কথা ছিল বারাসত স্টেডিয়ামে। কিন্তু শেষ মুহুর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে তৃণমূল। সোমবারের পরিবর্তে মমতা বারাসতে সভা করবেন মঙ্গলবার।
উল্লেখ্য, মোদীর বারেবারে এই পশ্চিমবঙ্গ সফরকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। যেভাবে দিনের পর দিন মোদী-শাহ-নাড্ডা-যোগীদের মতো নেতারা বাংলা সফরে আসছেন, তাতে তাঁদের ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জার’ বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বলছে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে যেভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলের নেতারা ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করছে তা নজিরবিহীন।
ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২ মে’র ফলাফল যে শুধু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ হবে তা না, কঠিন পরীক্ষা অমিত শাহ ও মোদীর সামনেও। কারণ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ফের একবার জিতে যান, তবে বলা হবে তিনি টেক্কা দিয়ে দিয়েছেন মোদী-শাহকেও। ফলে দেশের একাধিক জায়গায় বিপাকে পড়তে পারে বিজেপি। অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতিতে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ যে মমতাই হয়ে উঠবে সেকথা বলার অপেক্ষা থাকে না।