সাক্ষাৎ কল্পতরু! নিজের সঞ্চয় থেকে প্রায় ১০৩ কোটি টাকা দান প্রধানমন্ত্রী মোদির

নিজের সঞ্চয় ও উপহারে পাওয়া সামগ্রী নিলাম করে উপার্জিত প্রায় ১০৩ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জনকল্যাণ প্রকল্পে দান করেছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁরই উদ্যোগে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি ‘পিএম কেয়ারস’ ফান্ডে সবার প্রথম তিনিই ২.২৫ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। এমনটাই জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে।


উল্লেখ্য, নিজের সঞ্চিত অর্থ ও ব্যক্তিগত সামগ্রীর নিলাম থেকে বিগত কয়েক বছরে একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গত বছর, কুম্ভ মেলায় সাফাইকর্মীদের কল্যাণের জন্য তৈরি তহবিলে নিজের সঞ্চয় থেকে ২১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সাউথ কোরিয়ায় সোল পিস পুরস্কারে পাওয়া ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকাও গঙ্গা সাফাই মিশনের জন্য দান করেন তিনি। এছাড়াও উনি যেসব উপহার সামগ্রী পেয়েছিলেন সেগুলোকে নিলাম করে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এই টাকা তিনি নদী পরিষ্কারের অভিযানে দান করেছিলেন। এখানেই এই ফিরিস্তি শেষ নয়। ২০১৫ সালে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া উপহার সামগ্রী নিলাম করার অভিযান চালিয়েছিলেন নমো। সুরাটে এই নিলাম হয়েছিল। সেখান থেকে সব মিলিয়ে ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। পুরো টাকাটাই নমামি গঙ্গে অভিযানে দান করেছিলেন তিনি।


গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের কার্যকাল শেষ হওয়ার পর তিনি গুজরাট সরকারের কর্মচারীদের কন্যা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ২১ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। উনি মুখ্যমন্ত্রী থাকা কালীনও উপহারে পাওয়া সমস্ত সামগ্রী নিলাম করেছিলেন। আর সেখান থেকে পাওয়া প্রায় ৯০ কোটি টাকা কন্যা কেলাবনি ফান্ডে দান করেছিলেন। ওই টাকা কন্যা সন্তানদের পড়াশোনার জন্য খরচ করা হয়। সব মিলিয়ে জনস্বার্থে নিজের সঞ্চয়ের অধিকাংশই বিলিয়ে দিয়েছেন মোদি।

উল্লেখ্য, এই অনুদানগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘পিএম কেয়ারস’ তহবিলে তাঁর দান করা টাকা। কারণ, PM Cares ফান্ড নিয়ে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে পিএম কেয়ারস ফান্ড তৈরির মাত্রা ৫ দিনের মধ্যেই ৩০৭৬ কোটি টাকা অনুদান জমা পড়েছিল। এই তহবিলের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। তাঁরা এও বলেছে যে, প্রথম থেকেই যখন Prime Minister’s National Relief Fund আছে, তখন এরকম একটি তহবিল গড়ার কী দরকার ছিল? এই তহবিল থেকে খরচ হওয়া টাকার হিসেব নিকেশই বা কেন সর্বজনিক করা হবে না? উত্তরে সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, CAG এই ফান্ডের অডিট করতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.