‘সাইবার বুলিং’-এর বিরুদ্ধে লড়াইকে কুর্ণিশ, আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেল বাংলাদেশের কিশোর

একুশ শতকে গোটা বিশ্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাইবার বুলিং (Cyber Bullying)। আর এই ফাঁদে পড়ে অকালে ঝড়ে যাচ্ছে বহু তরতাজা প্রাণ। সেই সাইবার বুলিং আটকাতে আস্ত একটা অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) এক কিশোর। তাঁর কাজকে স্বীকৃতি দিল কিডজ রাইট। এবছরের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেলেন সাদাত রহমান শাকিব। নেদারল্যান্ডে শুক্রবার তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন মালালা ইউসুফজাই।

পুরস্কার প্রদানকারী সংগঠন কিডস রাইটের (Kidzrights) তরফে জানানো হয়েছে, এ বছরের আম্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য ৪২টি দেশ থেকে ১৪২টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে সামাজিক কাজকর্মে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সাদাতকেই বেছে নেয় বিশেষজ্ঞ কমিটি। সাইবার বুলিং রুখতে নিজের এক সংগঠন তৈরি করেছে বাংলাদেশের সাদাত। শুধু তাই নয়, ‘সাইবার টিন’ বলে একটি অ্যাপও বানিয়েছে সে। তাঁর এই কাজকে স্বীকৃতি দিল কিডজ রাইট। এই স্বীকৃতির সাইবার বুলিং রুখতে বাংলাদেশি কিশোরের কাজকর্ম গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। তাঁকে অনুসরণ করে আরও উন্নত কাজও সম্ভব হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, কারোর ক্রমাগত সমালোচনা করা কিংবা তাঁকে ব্যক্তিগত বিষয় আক্রমণ করাই সাধারণত সাইবার বুলি হিসেবে পরিচিত। জেন ওয়াইের প্রতিনিধিদের বারবার এই ধরণের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। ফলে আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরার পাশাপাশি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে তারা। এমনকী, এই অপমান সহ্য করতে না পরে কেউ কেউ আত্মঘাতীও হয় সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে সে। এই ঘটনাটাই সাদাতকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল। তারপরই এই অ্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সে।

সাইবার টিন নামক অ্যাপটি সাইবার বিশেষজ্ঞ, পুলিশ, সমাজকর্মীদের একই ছাদের তলায় নিয়ে এসেছে। অ্যাপটি ইন্টারনেট সিকিউরিটি, সাইবার বুলিং-এর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, সে সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য প্রদান করে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে আত্মবিশ্বাসও জোগায় তারা। ইতিমধ্যে সাইবার বুলিং-এর শিকার হওয়া ৩০০ জনের পাশে দাঁড়িয়ে সাদাত ও তাঁর টিম। এবার সেই কাজকে সম্মান জানিয়ে সাদাতের হাতে তুলে দেওয়া হল আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার ( International Children’s Peace Prize 2020)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.