দীর্ঘ কয়েকমাস পর ফের সচল হচ্ছে কলকাতার লাইফ লাইন। প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মেট্রোর ঝাঁপ। অবশেষে খুলতে চলেছে। আগামী ৮ তারিখ থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা। স্বাস্থ্য বিধি মেনে পাতালপথে ছুটবে মেট্রো।
ইতিমধ্যে স্যানেটাইজ করা হচ্ছে মেট্রো রেকগুলিকে। জানা যাচ্ছে প্রত্যেকদিনই রেকগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চালানো হবে। স্টেশনগুলিকে নিয়ম মেনে তৈরি রাখা হয়েছে। চেয়ারগুলিতে একে ওপরের মধ্যে যাতে দূরত্ব থাকে সেজন্যে মাঝের আসনটিকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আরও জানা যাচ্ছে যে, আপাতত টোকেন কিনে মেট্রোয় সফর করা যাবে না। স্মার্ট কার্ডই ব্যবহার করতে হবে। করোনা সংক্রমণ এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আনলক-৪ পর্বে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশ জুড়ে মেট্রো চলাচলে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় মেট্রো চলাচল শুরু হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে তা হচ্ছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্মার্ট কার্ড রিচার্জের জন্য প্রতিটি স্টেশনে একটি মাত্র কাউন্টার খোলা থাকবে। তবে মেট্রোর কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়াতে মেট্রো রেলের অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার উপরেই জোর দেওয়া হবে।
কয়েকদিন আগেই একটি অ্যাপ লঞ্চ করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তার মাধ্যমে মোট ১৮ টি বিষয়ে সাহায্য পাবেন ব্যবহারকারীরা। মেট্রোর সময়, প্যাসেঞ্জার সার্ভিস আপডেট, স্টেশন ইনফরমেশন, ফেয়ার স্ট্রাকচার, কোন কোন জিনিস মেট্রোয় নিষিদ্ধ, অপরাধ ও জরিমানা সহ সব তথ্য মিলবে।
এবং সর্বোপরি কার্ড ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপ থেকে রিচার্জ করাতে পারবেন। ফলে মেট্রোর স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার জন্য আর লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এছাড়াও, স্যানিটাইজ়েশনের জন্য প্রতিটি স্টেশনে অ্যালকোহল ডিস্পেন্সার থাকবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরই মিলবে প্রবেশের অনুমতি। প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে থাকবে তিনটে করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন। মোট ছটা করে মেশিন থাকবে প্রত্যেক স্টেশনে। যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
স্টেশনে প্রবেশের আগে থার্মাল গানের সাহায্যে তাঁদের তাপমাত্রা মাপবেন মেট্রোর কর্মীরা। বয়স্ক এবং শিশুদের মেট্রোয় না-চড়ার জন্য অনুরোধ করা হবে। এছাড়া, ক্যামেরার মাধ্যমে সেনসরকে কাজে লাগিয়ে চলছে তাপমাত্রা মাপার পরিকল্পনা।
সব মিলিয়ে আগামী ৮ তারিখ থেকে কলকাতায় ফের মেট্রো ছোটার জন্যে প্রস্তুত। তবে ফাইনাল রাউন্ডের আগে এখন শেষদফার প্রস্তুতি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে সেই কাজ।