বুধবার ভোরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আগন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। হাসপাতালে যায় পুলিশ। কিছুক্ষণের চেষ্টাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। তবে এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি।
বুধবার ভোরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা বিল্ডিং থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। মুহূর্তে হুলস্থূল পড়ে যায় গোটা হাসপাতাল চত্বরে। আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন অনেকে। এরই মধ্যে খবর পৌঁছে যায় দমকলের কাছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। হাসপাতালে পৌঁছে যায় বউবাজার থানার পুলিশ। এদিকে, হাসপাতালে আগুন লাগার খবর পেয়েই জোরদার তৎপরতা শুরু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। রোগীদের এক ওয়ার্ড থেকে অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়।about:blank
স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের বিল্ডিংয়ে অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি এখনও টাটকা। আগুন দিন কয়েক আগেই রেলের ওই বিল্ডিংয়ে ন’জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। সেই স্মৃতির নিরিখেই বুধবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মীরা এক্ষেত্রে নিদারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এদিন হাসপাতালে পৌঁছেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার পাশাপাশি উদ্ধারকাজেও হাত লাগিয়েছিলেন। হাসপাতাল কর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে রোগীদের নিরাপদ জায়গায় দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে অগ্নিকাণ্ডের জেরে এদিন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থাবীয় সূত্র থেকে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিন্ন-ভিন্ন মত উঠে এসেছে। অনেকেই শর্ট সার্কিট থেকে কোনওভাবে আগুন লেগে যায় বলে মনে করছেন। তবে দমকল দফতরের কর্তারা এখনও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বুধবার ভোরের এই অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কোনও তথ্য দেননি। তাঁরা জানিয়েছেন সব দিক খতিয়ে দেখেই অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে কিছু জানানো সম্ভব হবে। এদিকে বউবাজার থানার পুলিশও কীভাবে আগুন লাগল, সেব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কোনও তথ্য দেয়নি।