সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সেখানে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওই সংবাদপত্র ২০১৮-য় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কেরল ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টসের পক্ষ থেকে সিদ্দিক কাপ্পানের (Siddique Kappan) জামিন চেয়ে যে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে, তার বিরোধিতা করে যোগী সরকার বলেছে, এই দাবির কোনও যৌক্তিকতা নেই। কারণ, কাপ্পান তাঁর আইনজীবী ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করছেন, কথা বলছেন। তাঁদের মাধ্যমেই তিনি জামিনের আরজি জানাতে পারেন। যোগী সরকার আরও জানিয়েছে, তাঁকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়নি। তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাবি, পিএফআই (PFI) এবং তাদের ছাত্র শাখার অন্য কর্মীদের সঙ্গে হাথরস যাচ্ছিলেন কাপ্পান। তাঁদের কাছে আপত্তিকর সামগ্রী ছিল। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চে শুনানি হয়। যোগী সরকারের হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আগের শুনানিতে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। কারণ, তাঁকে জানানো হয়েছিল, অভিযুক্ত কাপ্পান নিজেই জামিন চাননি। কেরল ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস (Kerala Union of Working Journalists) নামের সংগঠনের পক্ষে সওয়াল করেন কপিল সিব্বল। যোগী সরকারের হলফনামা দেখে পালটা জবাব দিতে তাঁকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জামিনের আবেদনে কাপ্পানের স্বাক্ষর নিতে তাঁর সঙ্গে আইনজীবীরা দেখা করতেও পারবেন। এক সপ্তাহ পর ফের শুনানি হবে। জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সিব্বল (Kapil Sibbal) অভিযোগ করেন, এর আগে কাপ্পানের সঙ্গে আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল। সব মিলিয়ে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত জেলেই থাকতে হচ্ছে সিদ্দিক কাপ্পানকে।
উল্লেখ্য, ৫ অক্টোবর হাথরসে যাওয়ার পথে চার সঙ্গী-সহ কাপ্পানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিএফআই সংগঠনের সদস্য মুজফফরনগরের আতিউর রহমান, বাহরাইচের মাসুদ আহমেদ, রামপুরের আলম নামের তিনজন গ্রেপ্তার হন। পুলিশের দাবি, বাড়ির ঠিকানা-সহ নানা বিষয়ে কাপ্পান মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।