শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয়, ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে জেআইএস-এর অবদান অনস্বীকার্য। শিক্ষার সেই প্রসারকে আরও বৃদ্ধি করতে সম্প্রতি ‘বিশ্ব বই দিবস’ পালন করল তারা। এ বছরের স্লোগান ছিল ‘চলুন কারও মুখে হাসি এঁকে দি’। যে সকল শিশুরা সমাজের সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাদের হাতে বই তুলে দিতেই একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল জেআইএস-এর তরফে। সকলের কাছে জ্ঞানে দরজা উন্মুক্ত করার জন্য ‘গুঞ্জ’-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে একটি ডোনেশন শিবিরের আয়োজন করেছিল তারা। এই বই ডোনেশন শিবিরটি শুরু হয়েছিল ৪ এপ্রিল। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলেছিল এই শিবির।
দশ দিন ব্যাপী এই ক্যাম্পেইন-এ বিভিন্ন মানুষ গল্পের বই, অব্যবহৃত কালার বুক, ফাঁকা নোটবুক, পেন, রং পেন্সিল, বই, ডিকশনারি, স্কুলের রেফারেন্স বুক ইত্যাদি দান করেন। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মোট ১৮টি ডোনেশন সেন্টার থেকে ১০০-রও বেশি বই এবং স্টেশনারি আইটেম সংগ্রহ করতে পেরেছে জেআইএস। এই সমস্ত কিছু সমাজের পিছিয়ে পড়া এবং বঞ্চিত শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্দার তরণজিৎ সিংহ বলেন, “একজন শিক্ষিত শিশু সর্বদাই নিজের মতো করে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারে। নিজেকে প্রকাশ করতে পারে। বহু ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রয়েছে যারা বই, ব্যাগ বা পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারে না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সেই শিশুদের সংখ্যাটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছি এবং সমাজের অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের দিকে সাহায্যের হাত আরও একটু বাড়িয়ে দিতে পেরেছি।”
সমাজে শিক্ষার প্রসার ও ব্যপ্তির লক্ষ্যে জেআইএস গ্রুপ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। তাদের গঠনমূলক ও শিক্ষামূলক প্রচেষ্টাগুলি সমাজের অগ্রগতির জন্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তাদের লক্ষ্য শ্রেণী, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তৈরি করা।