২২ মার্চ, ২০২০। অর্থাত্, আজ থেকে এক বছর আগে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনতা কার্ফুর আপিল করেছিলেন। ট্রায়াল সফল হওয়ার পর ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে লকডাউন হয়ে যায়। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউনের মেয়াদও বেড়ে যায়। একটা সময় পর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমতে থাকে। তার পর শুরু হয় আনলক পর্ব। যদিও গত বছর সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে বাড়ছিল। এর পর অক্টোবর থেকে শীতের মরশুম। মনে করা হয়েছিল, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে করোনার প্রকোপ বড়বে। কিন্তু হল ঠিক তার উল্টো।জানুয়ারি মাসে দেশজ ভ্যাকসিন এল। সেইসঙ্গে মানুষের মধ্যে অসতর্ক হওয়ার প্রবণতাও বাড়ল। করোনার প্রকোপ আবার বাড়তে শুরু করল। চলতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে করোনা সংক্রমণের হার রোজ লাফিয়ে বেড়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি ৯৩৫৩ নতুন কেস সামনে এসেছিল। ২০ মার্চ যা বেড়ে ৪৩, ৮১৫ হয়ে গেল। অর্থাত্ ৩৬৮ শতাংশেরও বেশি বাড়ল সংক্রমণের হার। তা হলে কি আবার করোনার প্রকোপ ফিরে এল! তা হলে কি আবার প্রশাসনকে করোনা রোধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করতে হবে! তা হয়তো এখনই বলা মুশকিল। এমনিতেই দেশের ছয় রাজ্যে ফের করোনার প্রকোপ বেড়েছে। এই ছয় রাজ্যে নাইট কার্ফু, আংশিক লকডাউন করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু লাভ হচ্ছে না।১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে কোভিড টীকাকরণ শুরু হয়েছে। সাড়ে চার কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। তবে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৭৫ লাখ মানুষ। তবে ভ্যাকসিন আসার পরও কেন দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ! চিকিত্সকদের একাংশ বলছেন, ভ্যাকসিন কোনও ওষুধ নয়. ইমিউনিটি বুস্টার। ৪০-৫০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন না পেলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে না। ফলে ৫০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে কোভিড প্রোটোকল সবাইকে মেনে চলতে হবে। এছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
2021-03-22