কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Express AXB1344) যাত্রীবাহী বিমানটির দু’জন পাইলটেরই মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর আগে নিজেদের বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে গেলেন বায়ুসেনার প্রাক্তন পাইলট ক্যাপ্টেন দীপক বসন্ত সাথে এবং ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমার।
ক্যাপ্টেন দীপক বসন্ত সাথে (Deepak Vasant Sathe) একটা সময় কাজ করেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার। ২২ বছরের লম্বা কেরিয়ারে বহু সম্মান, বহু পুরস্কার জিতেছেন তিনি। এয়ার ইন্ডিয়ায় যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) তরফে ‘শোর্ড অফ অনার’ সম্মানও পেয়েছেন তিনি। ক্যাপ্টেন সাথে একটা সময় বায়ুসেনার ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের উইং কম্যান্ডার ছিলেন। যেটিকে কিনা সম্প্রতি রাফালে ওড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এ হেন অভিজ্ঞ পাইলটও এই দুর্ঘটনা এড়াতে পারলেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আসলে শুক্রবার কেরলের আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ ছিল। কোঝিকোড়ের টেবিলটপ রানওয়েতে অবতরণের আগেও বার দুই অবতরণের চেষ্টা করেছেন পাইলটরা। কিন্তু প্রতিবারই অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য সম্ভব হয়নি। জীবিত যাত্রীরা বলছেন, ক্যাপ্টেন সাথে তাঁদের অবতরণের আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ‘আবহাওয়া অত্যন্ত খারাপ, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সকলে সাবধান হয়ে যান।’ রানওয়েতে নামার পর চাকা পিছলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন বলেও দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ। নাহলে হয়তো আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত। এমনিতেও ২০১০ সালের পর গত দশ বছরে বছরে ভারতের মাটিতে এত বড় বিমান দুর্ঘটনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ পর্যন্ত সকলেই এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। দুঃখ প্রকাশ করেছে বিরোধী শিবিরও।