দিন তিনেক ধরেই প্রমাদ গুণছিল বাঙালি। আমফানের স্মৃতি মাথায় রেখেই শুরু হয়েছিল প্রশাসনিক তৎপরতাও। কিন্তু হঠাৎই আবহাওয়ায় ম্যাজিক, কেটে যাচ্ছে সিঁদূরে মেঘ। হাওয়া অফিস বলছে, যে নিম্নচাপটি নিয়ে পুজোয় বৃষ্টির ভয় ছিল তা স্থলভাগে এসে শক্তি হারাবে ফলে ভয়ের কোনও কারণ থাকছে না।
গত কয়েক দিন ধরেই অন্ধ্র থেকে অভিমুখ ঘুরিয়ে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছিল নিম্নচাপ। আবহাওয়া অফিস সঙ্কেত দেয়, শুক্রবারই তা অতিগভীর নিম্নচাপের চেহারা নিতে পারে। ফলে সোমবার থেকেই দুই চব্বিশ পরগণা, দুই মেদিনীপুরে অতিভারী বৃষ্টির আভাস জানানো হয়। একই সঙ্গে কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল বলে জানানো হয়। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে ফেরি বন্ধ রেখে, মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল প্রশাসন। অ্যালার্ট করা হয় প্রতিটি থানাকে। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ বদল, প্রকৃতিদেবীর মেজাজ হঠাৎ সুপ্রসন্ন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল আজ শুক্রবারই ওই নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে। এর ফলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি, সেই সঙ্গে ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী নিম্নচাপটি স্থলভাগে এলেও দুর্যোগ ঘটানোর মতো শক্তি হরাবে। কাজেই রক্ষা পাবে বাঙালির প্রাণের উৎসবের আমেজটুকুও।