উৎসবের মরশুম দেশে করোনার সুপার স্প্রেডার হতে পারে, সতর্ক করেছে কেন্দ্র। এদিকে যত দুর্গাপুজোর দিন এগিয়ে আসছে বাংলায় ততই লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। এমন আবহে রাজ্যে দুর্গোৎসব বন্ধ রাখার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
মহামারী আবহে নিয়মকানুন মেনে রাজ্যে দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু উৎসব শুরু আগেই রাস্তায় কার্যত মানুষের ঢল নেমেছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণও। পুজোর পর রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবেই আতঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে এ নিয়ে সাবধান করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরও সতর্ক করেছে। এবার দুর্গাপুজোর নামে উৎসব বন্ধ রাখার আরজি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
তিনি আবেদনে কেরলের ওনাম উৎসবের কথা উল্লেখ করেছেন। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “ওনাম উৎসবের করে কেরালায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতহারে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো পালনের কারণেও একইভাবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” আবেদনে তিনি মহারাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে এনে বলেন, “মহামারীর আবহে মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যে গণেশ পুজো ও মহরম নিষিদ্ধ করেছে। সেই উদাহরণ মাথায় রেখেই বাংলায় এ বছর দুর্গাপুজো পালনে উৎসব বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হোক।”
প্রসঙ্গত, এবার সাড়ম্বরে দুর্গাপুজো পালনের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য। তা মেনেই পুজোর করার চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু পুজোর দিনগুলোয় কি মানুষের ঢল আদৌ নিয়ম মানবে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। ফলে পুজোর পর কেরলের পুনরাবৃত্তি রাজ্যে হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এবার সেই উদ্বেগ নিয়েই হাই কোর্টে মামলা দায়ের হল।