সর্বনাশ! ‘নিরাপদ নয়’ কোভিশিল্ড, চমকে ওঠা নির্দেশ আদালতের!

সিরাম ইনস্টিটিউটের করোনার টিকা নিয়ে প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই এই টিকার ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন। উপযুক্ত ট্রায়াল না হওয়ার দাবিতে অনেকেই এই টিকা নিতে রাজি হচ্ছেন না। যদিও কেন্দ্রের দাবি, এই করোনা টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবে শুক্রবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের কড়া নজরে চলে এল করোনার টিকা ‘কোভিশিল্ড’।

চেন্নাইয়ের এক স্বেচ্ছাসেবকের করা মামলার ভিত্তিতে কেন্দ্রকে কড়া নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ওই ব্যক্তির পিটিশনের ভিত্তিতে কেন্দ্রকে মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনকে ‘নিরাপদ নয়’ টিকা হিসেবে ঘোষণা করা হোক। গত ১ অক্টোবর, ২০২০ তারিখে ‘কোভিশিল্ড’ টিকার ট্রায়াল রানে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করেছিলেন ওই ৪১ বছরের চেন্নাইয়ের যুবক। তিনিই জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের ট্রায়াল রানের সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই ‘কোভিশিল্ড’ নিরাপদ প্রতিষেধক নয়।

বিশ্বের অন্যতম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ প্রস্তুত করা হয় ‘কোভিশিল্ড’। এই প্রতিষেধকেই ভারতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ডিজিসিআই। দেশের সমস্ত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আপাতত এই প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। জানুয়ারি ১৬ তারিখ থেকে গোটা দেশেই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ব্যক্তিদের করোনার টিকা হিসেবে ‘কোভিশিল্ড’ দেওয়া হয়েছে। আর তার মাঝেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের নির্দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

চেন্নাইয়ের বছর ৪১-এর ওই স্বেচ্ছাসেবক তাঁর পিটিশনে দাবি করেছেন যে, তাঁকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গত বছরেও বাজারে ভ্যাকসিন আসার আগেই সিরামের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চেন্নাইয়ের ওই যুবকের বিষয়ে সিরাম কর্তৃপক্ষ জানায়, কোভিশিল্ড সম্পূর্ণ রূপে নিরাপদ। চেন্নাইয়ের ভদ্রলোকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অপ্রীতিকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.