আনন্দপুর কাণ্ডে স্ট্রেচারে শুয়েই আদালতে গোপন জবানবন্দি দিলেন প্রতিবাদী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়

আনন্দপুর কাণ্ডে স্ট্রেচারে শুয়েই আলিপুর আদালতে (Alipore Court) গোপন জবানবন্দি দিলেন প্রতিবাদী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় তিনি বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিলাম। অভিযুক্তর যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় সেই কথা বলেছি। অন্যায় দেখলে ভবিষ্যতেও প্রতিবাদ করব।” শত অসুস্থতা সত্বেও নীলাঞ্জনা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি গোপন জবানবন্দি দিতে আসবেন। সেইমতো অ্যাম্বুল্যান্সে করে এদিন আদালতে পৌঁছন তিনি। এদিকে, এই ঘটনায় ধৃত অভিষেক পাণ্ডেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের জীবন বাজি রেখে এক তরুণীর শ্লীলতাহানি রুখে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন নীলাঞ্জনা ও তাঁর স্বামী দীপ শতপথী। ওইদিন রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ইএম বাইপাস লাগোয়া আনন্দপুর (Anandapur) থেকে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন নীলাঞ্জনারা। হঠাৎই একটি গাড়ি থেকে ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ চিৎকার শুনে নীলাঞ্জনা ও দীপ নিজেদের গাড়ি থামান। তাঁরা দেখেন, পিছনের একটি গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে এক তরুণীকে। নীলাঞ্জনা ওই তরুণীকে বাঁচাতে গেলে গাড়িটি তাঁর পা পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাঁর পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ঘটনায় নীলাঞ্জনার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) থেকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।

যদিও নীলাঞ্জনা যার জন্য এত করলেন সেই তরুণী অভিযুক্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। জানা গিয়েছিল, ওই ঘটনার পরও নাকি তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। তাই পারিবারিক বিবাদ বলে উল্লেখ করে এই মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.