ভারত উজবেকিস্তান শীর্ষবৈঠকের দৃশ্যপটে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী
মন্দিরের ছবি শোভিত হয়েছে। এর জন্য আপ্লুত সাংসদ ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায় ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।
এক ভারত উজবেকিস্তান শীর্ষবৈঠকে মা ভবতারিণী মন্দিরের দৃশ্য ব্যবহার হওয়ায় লকেট ভিডিও বার্তা দিয়ে বলেন আমি বাঙালি, পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে গর্ববোধ করছেন। আমার শৈশব কেটেছে দক্ষিণেশ্বরে। বাবা-দাদু ওখানে পুজো করতেন। আমার পরিবারের সঙ্গে ভবতারিণী মন্দির সব মিলিয়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই অত্যন্ত গর্বের দিন আজ। বাঙলার এই ঐতিস্যকে এভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
উল্লেখ, ১৮৫৫ সালের ৩১ মে স্নানযাত্রার দিন মন্দিরের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি। কলকাতার রক্ষণশীল সমাজ ‘শূদ্র’-প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে ব্রাহ্মণের পূজা করা নিয়ে আপত্তি তোলে। হুগলির কামারপুকুর থেকে রামকুমার চট্টোপাধ্যায়কে পৌরোহিত্যের কাজে নিয়োগ করেন রাসমণি। এক বছরের মধ্যেই রামকুমার তাঁর ভাই গদাধরকে নিয়ে আসেন পুজোর কাজে সহায়তার জন্য। গদাধরই যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণ। তাঁর আকর্ষণে এই মন্দির দেবালয় থেকে পরিণত হয় মহামানবের মহাতীর্থে। এই মন্দিরে এসেছেন মাইকেল মধুসূদন, বঙ্কিমচন্দ্র, গিরিশ ঘোষ, কেশব সেনরা। মহাসমারোহে কালীপূজা উদ্যাপিত হয় অগণিত মানুষের সমাগমে।
2020-12-11