দেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছে অতিমারি। এমন পরিস্থিতিতে ৩ দিনের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখা হল শালবনি টাঁকশালে। ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে টাঁকশাল। ওই ৩ দিনের যাবতীয় কাজ ১০, ১২ এবং ১৭ জুলাই করা হবে বলে নোটিস দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ প্রাইভেট লিমিটেড (বিআরবিএনএমপিএল)।
মেদিনীপুরের শালবনি টাঁকশালে কর্মরত মোট ৭০০ জন। এর মধ্যে ২৮ মার্চ দোলের দিন থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আরও এক কর্মী। তাঁর রিপোর্ট যদিও নেগেটিভ এসেছে। তবে এই মুহূর্তে দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ। তাই আপাতত ৩ দিন উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শালবনি টাঁকশালে ৫০০ এবং ২০০ টাকার নোট ছাপা হয়।
শুধু তাই নয়, আগামী ২৪, ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শও দিয়েছেন টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ। তবে বাড়ি থেকে কাজ করলেও, যিনি যে জায়গায় রিপোর্ট করেন, সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়া চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিউটি অফিসার ডেকে পাঠালে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সকলকে।
এতে অবশ্য টাঁকশালের কর্মীরা খুশিই হয়েছেন। বিআরবিএনএমপিএল-এর কর্মী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নেপাল সিংহ বলেন, ‘‘টাঁকশালে কর্মীদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সংক্রমণের এই শৃঙ্খল ভাঙার প্রয়োজন ছিল। সেই মতো আবেদন জানিয়েছিলাম আমরা। কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দিয়েছেন। তার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’’
টাঁকশালের এক কর্মী বলেন, ‘‘দীর্ঘ সময়ের জন্য তো আর কাজ বন্ধ থাকছে না। এই মুহূর্তে সংক্রমণ রোখাই মূল লক্ষ্য।’’