প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে টিকাকরণও যথেষ্ট হচ্ছে না মহারাষ্ট্রে। করোনাকে আটকানোর উপায় বলতে একমাত্র লকডাউন বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছে সে রাজ্যের কোভিড টাস্ক ফোর্স।আর তাই প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বৈঠকে লকডাউনের সিদ্ধান্তের কথাই ঠিক হয়েছে৷
মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ তোপে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, রাজ্যে লকডাউনের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ১৪ ই এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেবেন।রাজ্যের করোনা টাস্কফোর্স ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনভাইরাস পরিস্থিতির রাশ টানতে লকডাউন একমাত্র ভরসা। লকডাউনকালে রাজ্যের অর্থিনীতি যাতে ভেঙে না পরে সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে এদিনের মিটিংয়ে।
মুখ্যমন্ত্রী অফিস থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে , ‘অক্সিজেন এবং শয্যাগুলির সহজলভ্যতা, রেমডেসিভিয়ারের ব্যবহার, চিকিত্সার প্রোটোকল, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য টাস্ক ফোর্সের আলোচনা হয়েছে। কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘনের জন্য জরিমানার বিষয়েও আলোচনা হয়।’
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আসলাম শেখ জানিয়েছিলেন যে, বৈঠকের সময়ে বেশ কয়েক জন সদস্য তিন সপ্তাহের লকডাউনের পক্ষে ছিলেন এবং তাই ১২ ই এপ্রিল আবার বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে কিছু সদস্য ২ সপ্তাহ লকডাউনের কথা বলে, আবার কেউ ৩ সপ্তাহের লকডাউনের পক্ষে ছিলেন। লকডাউন হলে কি গাইডলাইন জারি হবে সেবিষয়ে আলোচনা করা হয়।’
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে মহারাষ্ট্রে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত রুখতে লকডাউনই ভরসা হতে পারে৷ ইতিমধ্যেই নানা কঠোর করোনা বিধি জারি করা হয়েছে সে রাজ্যে। নাইট কার্ফু থেকে উইকেন্ড লকডাউন চলছে মহারাষ্ট্রে। তবে সূত্রের খবর উদ্ধব ঠাকরে ৮ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের জন্য সায় দিয়েছিলেন। কিন্তু টাস্ক ফোর্সের কর্তারা জানান যে লকডাউন হলে তা ১৪ দিনের জন্য হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৯৪ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের।মুম্বই, নাগপুর, পুণে সহ সব বড় শহরেই পরিস্থিতি প্রায় একই রকম হয়ে উঠেছে। সংক্রমণ রোধে সপ্তাহান্তে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।