কয়লাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই৷ এই মর্মে সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যের চার জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে তারা৷
আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইতিমধ্যেই লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এরপরই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগণায় জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের চিঠি পাঠানো হয়েছে৷
ভোটের মুখে আগে রাজ্যের কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিচ্ছে সিবিআই। কয়লাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাসিন্দা অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। লালার পুরুলিয়া-সহ একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েছে সিবিআই। তবে এখনও পর্যন্ত তার নাগাল মেলেনি। অভিযোগ, কয়লা পাচার করে কোটি-কোটি টাকা তুলেছে লালা। বছরের পর বছর ধরে কয়লা পাচার করে বিপুল সম্পত্তি হয়েছে লালার। এরাজ্য়ের পাশাপাশি ভিনরাজ্যে লালার সম্পত্তি রয়েছে। অভিযোগ, লালাকে একাজে সহযোগিতা করেছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা৷
এদিকে, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে কার্যত সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে লালা। তার বিরুদ্ধে যে এফআইার দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, সেই এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কয়লা কাণ্ডে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সিবিআই। তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে, যে জায়গা রেলের আওতাধীন নয়, সেখানে তল্লাশি করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি বাধ্যতামূলক। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে লালা। আজ বুধবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, এমাসের শুরুতেই শিলিগুড়ি থেকে লালা-ঘনিষ্ঠ বামাপদদে কে আটক করে সিবিআই৷ তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয়েছে৷ সিবিআই সূত্রে খবর, প্রভাবশালীদের কাছে লালার টাকা পৌঁছে দিত বামাপদ৷ তাঁর হাত দিয়ে সপ্তাহে কোটি, কোটি টাকার লেনদেন হতো৷ এবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেস্টা করা হচ্ছে কার কার কাছে গিয়েছে ওই টাকা৷