মিশছে চিনের চিনির সিরাপ, নামকরা কোম্পানির মধু খারাপ মানের : রিপোর্ট

চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। নামকরা ও জনপ্রিয় কোম্পানির মধুতে মিশছে চিন থেকে আনা চিনির সিরাপ। ফলে মধুর গুণগত মান রীতিমতো খারাপ হওয়া সত্ত্বেও ভালো দামে ভারতের বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে । বেশিরভাগ নামী কোম্পানির মধুতেই মিলেছে ভেজাল। আর এই ভেজাল আসছে চিন থেকে।

সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বা সিএসই-র প্রকাশিত এক রিপোর্ট জানাচ্ছে প্রায় ১০টি কোম্পানির মধুতে বেশি মাত্রায় ভেজাল মিলেছে। এর মধ্যে রয়েছে ডাবর, বৈদ্যনাথ, পতঞ্জলি, ঝান্ডু, হিটকারি, এপিস হিমালয়ার মতো কোম্পানিগুলি। প্রতিটি কোম্পানির মধু থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এই প্রত্যেকটা কোম্পানিই গুণগত মানের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।

প্রতিটি কোম্পানির মধুতে মেশানো হচ্ছে চিনির সিরাপ। নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রিসোন্যান্স পরীক্ষায় তাই ডাহা ফেল করে এই কোম্পানির মধুগুলির গুণগত মান। শুধুমাত্র সাফোলা, মার্কফেডসোহনা ও নেচারস নেক্টর (দুটির মধ্যে একটি নমুনা) পরীক্ষায় পাশ করতে পেরেছে।

বেশ কয়েকটি ভারতীয় নামকরা সংস্থা চিন থেকে চিনির সিরাপ আমদানি করে মধুতে অত্যধিক পরিমাণে মেশাচ্ছে বলে জানিয়েছে রিপোর্ট। সিএসই জানাচ্ছে তিন ধরণের সিরাপ আমদানি করা হচ্ছে। গোল্ডেন সিরাপ, ইনভার্ট সুগার সিরাপ, রাইস সিরাপ। এই তিন ধরণের সিরাপই মেশানো হচ্ছে মধুতে।

উল্লেখ্য মধুতে যে এই ধরণের ভেজাল মেশানো হচ্ছে, সেই বিষয়ে স্টেট গুড কমিশনার ও আমদানি করা কোম্পানিগুলিকে সতর্ক করেছিল এফএসএসএআই বা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তারপরেও আমদানিতে লাগাম পড়েনি। সিএসইর ফুড সেফটি অ্যান্ড টক্সিন টিমের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অমিত খুরানা জানান বেশির ভাগ চিনা কোম্পানি সব তথ্য জানা সত্ত্বেও চিনির সিরাপ ভারতে রফতানি করছে।

জানা গিয়েছে মধুর মধ্যে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ সিরাপ মেশানো হচ্ছে। ফলে তা যে খাওয়ার কোনও মতেই যোগ্য নয়, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.