প্রাচীন রীতিতে ইতি টেনে বিশ্বভারতীতে পালিত বসন্ত উৎসব। বসন্ত উৎসবে রঙিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দোলের দিনেই প্রতিবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বসন্ত উৎসব পালিত হয়ে থাকে। তবে দীর্ঘদিনের সেই রীতিতে এবার ছেদ টেনেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। দোলের দিন নয়, মঙ্গলবার বসন্ত উৎসব পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বসন্ত উৎসবের সব রীতি মেনেই মঙ্গলবার বিশ্বভারতীতে পালিত হচ্ছে বিশেষ এই কর্মসূচি।
মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর গৌরপ্রাঙ্গন মঞ্চে বসন্ত উৎসব মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে। তবে এবারের অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, কর্মী, অধ্যাপকরা সামিল হয়েছেন উৎসবে। তবে কর্তৃপক্ষের বসন্ত উৎসব ঘিরে নেওয়া সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদের একাংশ।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসন্ত উৎসবের সব নিয়ম মেনেই এবারের অনুষ্ঠান হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বসন্ত উৎসবের সূচনা হয় বিশ্বভারতীতে। রবীন্দ্র গানে ও নাচে মেতে ওঠে গোটা প্রাঙ্গণ। রঙিন শোভাযাত্রায় যোগ দেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ অধ্যাপকরাও সামিল হন বসন্ত উৎসবের এই অনুষ্ঠানে।
প্রতিবারই বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতী চত্বরে বিপুল জন সমাগম হয়। তবে করোনাকালে এবার বসন্ত উৎসব ঘিরে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। দোলের দিনের বদলে আজ মঙ্গলবার বসন্ত উৎসব পালন করা হচ্ছে। এতদিন আশ্রম মাঠে এই বসন্ত উৎসব পালন করা হতো।
যার জেরে বিশ্বভারতী ছাড়াও বাইরের বহু মানুষ এই উৎসবে সামিল হতেন। যাকে কেন্দ্র করে বিপুল জনসমাগম তৈরি হতো। এমনকী বিপুল সেই জনসমাগমকে কেন্দ্র করে পদপৃষ্ট হয়ে বিপত্তি তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও থাকত। অন্যদিকে, এবার এখনও করোনার চোখ রাঙানি জারি রয়েছে। বিপুল মানুষের ভিড় থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে।
সব দিক ভেবে চিন্তেই বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব পালনের নিয়মেও বদল এনে ফেলে কর্তৃপক্ষ। আশ্রম মাঠ থেকে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠান সরিয়ে নিয়ে আসা হয় গৌড় প্রাঙ্গনে। যদিও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী থেকে শুরকু করে আশ্রমিকদের একাংশ।