দক্ষিণ মহাসাগর (Southern Ocean) এই গ্রহের পঞ্চম মহাসাগর হিসাবে পরিচিতি পাবে। এমনটাই জানানো হল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির তরফ থেকে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটি জানিয়েছে, দক্ষিণ মহাসাগর (Southern Ocean) অর্থাৎ এই গ্রহের পঞ্চম মহাসমুদ্র হিসাবে পরিচিত হবে। ১৩০ বছরের গবেষণার পর ৮ জুন বিশ্ব মহাসাগর দিবসের (World Oceans Day) দিন ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটি (National Geography Society) একথা জানায়। তাই এটা বলা যেতেই পারে যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির হাত ধরে বিশ্বের মানচিত্র পরিবর্তন হচ্ছে।
১৯১৫ সালে মানচিত্র নির্ধারণের পর থেকে এতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে মোট চারটি মহাসাগর তালিকাভুক্ত করেছিলেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কার্টোগ্রাফাররা (National Geography cartographers)। সেই চারটি মহাসাগর হল আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic ocean), প্রশান্ত মহাসাগর(Pacific ocean), ভারত মহাসাগর (Indian Ocean) এবং আর্কটিক মহাসাগর (Arctic ocean)। তবে বেশ কিছু বছর ধরে বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকের জলে বিশেষ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। তা থেকে প্রমাণিত হয় যে, পৃথিবীর অন্যান্য মহাসাগরের থেকে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। এবং পরিবেশগত পার্থক্যের জন্যও একে পঞ্চম মহাসমুদ্রের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সোসাইটির (National Geography Society) ভূগোলবিদ অ্যালেক্স টেইট জানান, “আন্তর্জাতিকভাবে কখনও চুক্তি হয়নি বলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে স্বীকৃতি দিতে পারিনি, তবে দক্ষিণ মহাসাগর দীর্ঘকাল বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃত।”
অ্যালেক্স টেইট এও জানান যে, ভৌগোলিক বিশেষত্বের জন্য দক্ষিণ মহাসাগরকে তাআলাদা তালিকাভুক্ত করে গবেষণা করা হচ্ছিল। কারণ এর সঙ্গে অন্যান্য মহাসাগরের একাধিক পার্থক্যলক্ষ্য করা যায়। এবং সব গবেষণা শেষেই এই মহাসাগরকে পঞ্চম মহাসমুদ্রের (Fifth Ocean) স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এক বিশিষ্ট সামুদ্রিক বিজ্ঞানীর মতে, দক্ষিণ মহাসাগরের ( (Southern Ocean) ) নীল জলরাশি দেখলে মুগ্ধ হতেই হয়। হীমশীতল পাহাড়, হিমবাহ আর তাঁর নীল জল স্বর্গীয় দৃশ্যের থেকে কোনো অংশে কম নয়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিন অনুযায়ী, অ্যান্টার্কটিক সার্কোপোলার কারেন্ট (Antarctic Circumpolar Current ) এই মহাসাগরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, আরএই বৈশিষ্ট্যের জন্য এই মহাসাগর অন্যদের থেকে আলাদা।
অ্যান্টার্কটিক সার্কোপোলার কারেন্ট (Antarctic Circumpolar Current ) কী করে? এবিষয়ে জানা যায় যে, সমুদ্রের গভীরে কার্বন সংরক্ষণে সহায়তা করে এই সার্কোপোলার কারেন্ট। তার সঙ্গেই জলবায়ুতে গুরুতর প্রভাব ফেলে এবং সমুদ্রের জলকে কিছুটা লবণাক্ত ও ঠান্ডা করে তোলে।