এক সময়ে শোনা গিয়েছিল অক্টোবর মাসে সারদা কাণ্ডের চার্জশিট আদালতে পেশ করবে সিবিআই। পুজোর আগে তা হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার একটি সূত্রের দাবি, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বা জানুয়ারি গোড়ায় চিটফান্ড তদন্তের চার্জশিট আদালতে পেশ করতে পারে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
চিটফান্ডের কাণ্ডের তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত অনেককেই জেরা বা গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মোটামুটি ভাবে প্রায় সবকটি চিটফান্ড সংস্থার মালিকই হয় কলকাতা বা ভুবনেশ্বরের জেলে রয়েছে। তা ছাড়া বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে আগে জেরা করেছে বা গ্রেফতার করেছে সিবিআই। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে, এখনও ভুবনেশ্বরে হেফাজতে রয়েছেন চিত্র প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। প্রায় ২ বছর জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতারের পর সিবিআই একটি বিবৃতি দিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, চিটফান্ড সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতরণা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই প্রতারণার টাকা একটি প্রযোজক সংস্থার নামে ছবি কিনতে তিনি খরচ করেন। সেই সঙ্গে চিট ফাণ্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত আরও কিছু লোককে দিয়ে ওই রকমই ‘আঁকা ছবি’ কিনিয়েছেন তিনি।
সিবিআই সূত্রের দাবি, ওগুলি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি। শ্রীকান্ত মোহতাকে এর আগে কয়েক বার জেরা করেছিল সিবিআই। তখন ওই ছবিগুলি সিবিআই-কে দিয়ে এসেছিলেন মোহতা। পরে শিবাজি পাঁজা এবং তৃণমূলের এক প্রাক্তন সাংসদকে ছবি কেনার ব্যাপারে জেরা করেছিল সিবিআই।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছবি আঁকার প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি একটু ছবি আঁকি তা নিয়েও হিংসে। কেন এঁকেছি, কাকে টাকা দিয়েছি,কত প্রশ্ন! সেই টারা আমি মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি, রাজ্যপালের ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি। আমি কি আমার দলকে একটু টাকা দিতে পারি না?” শুধু তা নয়, মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন, ভোটের আগে অনেককে জেলে পুরবে। অনেক বদনাম দেবে। কিন্তু এ সব করার আগে চিন্তা করে দেখবেন, মানুষ কীভাবে তা নেবে।
এদিকে মঙ্গলবারই চিটফান্ড তদন্তের সূত্রে ব্যবসায়ী আসিফ খানকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। আসিফ তলব পেয়ে সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন। পরে বেরিয়ে তিনি বলেন, ওরা আমার কাছ থেকে ভয়েস স্যাম্পেল চেয়েছে। আজ টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার জন্য তা হয়নি। আমি বলেছি, যে দিন ডাকবেন ফের চলে আসব। আসিফের কথায়, কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাকার অধিকার রয়েছে। একশ বার ডাকতে পারে। তবে আমি বলেছি, ডাকলেই চলে আসব।