আমাজনের দাবানলের (Wildfire) স্মৃতি ফেরাচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়া। একদিকে পুড়ে খাক ২৫ মাইল সবুজ অরণ্য। পুড়েছে বাড়িঘরও। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১।
জানা গিয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎ থেকে দাবানলের সূত্রপাত। গত তিন সপ্তাহ ধরেই জ্বলছে বনভূমি। পুড়ছে বাড়ি-ঘর। নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না আগুন। উলটে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে দ্রুত ছড়াচ্ছে দাবানল। জেরে বুধবার নতুন করে প্রাণ গিয়েছে তিনজনের। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১।
মার্কিন মুলুকের অন্যতম উষ্ণ এলাকা হওয়ায় আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। আশেপাশের প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরও স্বস্তি নেই। দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ১২ হাজার দমকল কর্মী। শুকনো পাতাঘেরা জঙ্গল আগুন ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে একেবারে আদর্শ পরিবেশ। তাতেই বিপদ দ্বিগুণ হয়েছে। টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো, সান ফ্রান্সিসকো-সহ একাধিক জায়গা থেকে দমকল কর্মী এবং ইঞ্জিন এনেও তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি এই দাবানলের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার (California) তাপমাত্রার পারদ চড়েছে অনেকটাই। গত সপ্তাহেই তা ৫৪ ডিগ্রি ছাড়িয়ে রেকর্ড তৈরি করেছিল। তার নেপথ্যে যে এই দাবানল, তা বোঝা গিয়েছে পরে।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলসের বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল ভয়াবহ দাবানল। কত প্রাণী যে তাতে ঝলসে গিয়েছে, তার হিসেব বোধহয় এখনও ঠিকঠাক করে ওঠা সম্ভব হয়নি। অগ্নিতাপ অগ্রাহ্য করেই জঙ্গল থেকে কোয়ালা, ক্যাঙ্গারু-সহ অনেক প্রাণীকে উদ্ধার করে আনার সাহস দেখিয়েছিলেন বন্যপ্রাণপ্রেমীরা। তার আগে বিশ্ববাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আমাজনের দাবানল। ক্যালিফোর্নিয়ার আগুন সেই স্মৃতিগুলোয় ফের উসকে দিচ্ছে।