জম্মু কাশ্মীরে এনকাউন্টারে মৃত ৩ ‘জঙ্গি’। যদিও পুলিশের এই দাবিকে সত্যি বলতে মানতে নারাজ নিহতদের পরিবার। তাঁদের দাবি নিহতরা ছিল ‘নির্দোষ’। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াও।
পুলিশ এবং সেনার তরফে যৌথভাবে এই এনকাউন্টার অভিযান চালানো হয়। পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিনজনই ছিল জঙ্গি, কিন্তু পুলিশ রেকর্ডে জঙ্গি হিসাবে তালিকাভুক্ত ছিল না। বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, “এনকাউন্টারে নিহত তিন জঙ্গির নাম আমাদের জঙ্গি তালিকায় না থাকলেও তাদের মধ্যে দু’জন সন্ত্রাসীদের (ওজিডাব্লু) এর সহযোগী।”
উল্লেখ্য, যখন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়, তখন এই “ওজিডাব্লু” বা “ওভার-গ্রাউন্ড ওয়ার্কার” শব্দটি ব্যবহার করে কাশ্মীর পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গি রায়ীস কাচরুর আত্মীয়। এই রায়ীস কাচরু ২০১৭ সালে নিহত হয়েছিল।
তিন মৃতদের মধ্যে দুইজন রয়েছেন পুলওয়ামার বাসিন্দা। একজনের নাম আজাজ মকবুল গণি এবং অপর জন আথার মুশতাক। অপর জনের নাম জুবাইর লোনে। সে শোপিয়ানের বাসিন্দা। আত্মীয়স্বজনরা জানাচ্ছেন, আজাজ মকবুল গণি গান্দেরবাল জেলায় কর্মরত হেড কনস্টেবলের ছেলে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে শনিবার সকাল থেকেই গুলির লড়াই শুরু হয়। ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পায় সেনা। তারপরেই রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
এছাড়া, নভেম্বরে জম্মু কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের একটি বড় মাপের এনকাউন্টার হয়। দুপক্ষের এই গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন এক সেনা অফিসার ও আরও ৩ জন সেনা জওয়ান। এদের মধ্যে একজন বিএসএফ কনস্টেবলও রয়েছেন। এছাড়া খতম করা হয় আরও ৩ জঙ্গিকে।