আজ শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা চারদিন বাং বন্ধ থাকছে। এর মধ্যে শনি ও রবিবার ব্যাঙ্ক ছুটি থাকার জন্য বন্ধ থাকছে। বাকি সোম ও মঙ্গলবার ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডেকেছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী ও অফিসারদের বিভিন্ন ইউনিয়ন।
ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক উনিয়নের আহ্বায়ক গৌতম নিয়োগী জানান, “কেন্দ্রীয় সরকার বাজেটে রাষ্ট্রায়াত্ত আই ডি বি আই এবং আরও দুটো ব্যাঙ্ককে রুগ্ন বলে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও জীবন বিমা, জেনারেল ইন্সুরেন্স সহ বিমা সংস্থার ৭৪% শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে কেন্দ্র দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো বিক্রি করে চলেছে। শ্রম আইনকে সংশোধন করে শ্রমিক, কর্মচারীদের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে। কৃষকদের স্বার্থের পরিপন্থী কৃষি আইন করে কৃষক স্বার্থ বিপন্ন করে তুলেছে। এই সব কারণে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক উনিয়নের ছাতার তলায় দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী ও অফিসারদের সংগঠন ১৫ ও ১৬ মার্চ দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।”
ধর্মঘটে সামিল ব্যাঙ্ক উনিয়নের নেতাদের বক্তব্য, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে রক্ষা করা আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট দায়িত্ব। আমরা চাই সারা দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বৃদ্ধি করে ব্যাঙ্ক পরিষেবাকে সামাজিক ব্যাঙ্কিং-এর জায়গায় পৌঁছে দিতে। তাই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দুদিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আর্থিক ভাবে দুর্বল ব্যাঙ্কগুলিকে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে চাঙ্গা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেবদ্রীয় সরকার। ইন্ডিয়ান ওভারসিস ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্ক এই সাহায্যপ্রাপ্ত ব্যাংকার তালিকায় রয়েছে। আর্থিক ভাবে দুর্বল ব্যাঙ্কগুলিকে চাঙ্গা করতে ২০১৭ সালে পিসিএ চালু করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক । তাতে রাখা হয়েছিল ১২টি ব্যাঙ্ককে। তবে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী সবারই সমস্যায় পড়তে হবে। আরটিজিএস, এনইএফটি- মাধ্যমে যারা বাণিজ্যিক লেনদেন করেন তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। এই দুদিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ফলে এটিএম- থেকে টাকা পেতেও সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।