বর্তমানে যখনই আমাদের কোনো নতুন কাজ শেখবার প্রয়োজন পরেছে তখনই আমরা ইউটিউবের (YouTube) শরণাপন্ন হই, ইউটিউব ভিডিও থেকে নানাভাবে অনুপ্রাণিতও হই আমরা। আর এবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের বছর ২৫এর এক ব্যবসায়ী দুটি ব্যাংক ডাকাতি করেন। তিনি এই দুটি ব্যাংক থেকে মোট ১২ লক্ষ টাকা ডাকাতি করেছেন। আর এই ডাকাতি তিনি ইউটিউবের একটি ভিডিওর সম্পূর্ণ অনুকরণ করে করেছেন। তিনি দুটি ব্যাংকে ডাকাতি করেছে খেলনা বন্দুক এর সাহায্যে। যদিও এইসব ঘটনা ঘটাবার পর ওড়িশা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্রের খবর ধৃত ব্যক্তিটির নাম সৌম্যরঞ্জন যিনি দুটি ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ডাকাতি করেন।ধৃত ব্যক্তিটি ইউটিউবের একটি ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেপ্টেম্বর ৩ এবং ২৮ তারিখ দুটি ব্যাংক থেকে মোট ১২ লক্ষ টাকা ডাকাতি করেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন ধৃতের কাছ থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার ওই খেলনা বন্দুকটিকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। যতদূর জানা যাচ্ছে ধৃত ব্যাক্তিটি ব্যবসায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন, আর যার জন্যই তার মাথায় এই দুটি ব্যাংক ডাকাতি করার পরিকল্পনা আসে। এরই মধ্যে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তা হলেও ধৃত ব্যাক্তিটির এই দুটি ব্যাংকেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে, এবং এই দুটি ব্যাংক থেকেই তিনি মোটা অংকের টাকা লোন নিয়েছেন যা তিনি এই মুহূর্তে ফিরিয়ে দিতে অক্ষম। আর এরই মাঝে সাধনসু সারঙ্গীর বক্তব্যে উঠে এসেছে ধৃত ব্যক্তিটি দুটি ব্যাংক থেকে মোট ১৯ লক্ষ টাকা লোন নেন তার জুতোর দোকানের জন্য। যার মধ্যে তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী মাত্র ৬ লক্ষ টাকা তিনি ব্যাংকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম ছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে লকডাউন এর পূর্বে তার এই ব্যবসাতে প্রতি মাসে মোট ৯ থেকে ১০লক্ষ টাকার লেনদেন করা হতো কিন্তু লকডাউনের পরই এই চিত্রটা একেবারে বদলে যায় এবং তিনি চরমভাবে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন।
এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার লকডাউন শুরু হবার পর থেকেই উড়িষ্যায় বিভিন্ন প্রান্তের ব্যাংক এবং এটিএম ডাকাতির ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে গত কয়েক মাস থেকেই। এরমধ্যে ওড়িশার ছোট্ট একটি শহরের ব্যাংক থেকে দু লক্ষ টাকা ডাকাতি করেন এক ব্যক্তি, অন্যদিকে ভুবনেশ্বরের পুলিশ ক্লাস নাইনের পড়া ১৪ বালককে এটিএম মেশিন ভাঙ্গার অপরাধে গ্রেপ্তার করেন। যদিও এ বিষয়েও জানা যাচ্ছে ধৃত বালকটি ইন্টারনেটের এটিএম মেশিন ভাঙার কৌশল রপ্ত করেছিল। যদিও গত এপ্রিল মাসে এই ধরনের একটি ঘটনা পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়, এক্ষেত্রে যিনি ডাকাতি করেছিলেন তিনি এটিএম মেশিনের ক্যাশবাক্স ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।