মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ছত্তীসগঢ়ে নিহত অন্তত ২২ জওয়ান, জখম আরও ৩১

১১ বছরের আগের দান্তেওয়াড়ার স্মৃতি ফিরল ছত্তীসগঢ়ে। মাওবাদীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ২২ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হলেন। জখম হয়েছেন আরও অন্তত ৩১ জন জওয়ান, নিখোঁজ এখনও একজন। প্রশাসন সূত্রে খবর, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

৬ এপ্রিল ২০১০। এই ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়ার চিন্তলনার গ্রামে অভিযানে গিয়ে মাওবাদীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ৭৬ জন। তার ঠিক ১১ বছর পর ২০২১-এর ৩ এপ্রিল একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি। ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদী দমন অভিযানে নেমেছিল সিআরপিএফ বাহিনী। সেখানেই মাওবাদীদের সঙ্গে গুলি যুদ্ধে আধাসেনা বাহিনীর ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার দুপুরে বিজাপুরের পুলিশ সুপার কমললোচন কাশ্যপ একটি জাতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে মাওবাদী হামলায় ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন, জখম হয়েছেন ৩১ জন।’’

এর আগে শনিবার মাওবাদী দমন অভিযানে ৫ জন আধাসেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল ছত্তীসগঢ়ের পুলিশ। রবিবার সকালে সেই সংখ্যা কিছুটা বাড়ে। ছত্তীসগঢ় পুলিশের মাওবাদী দমন শাখার ডিরেক্টর জেনারেল অশোক জুনেজা জানান, নিহত জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮। খোঁজ মিলছে না আরও অন্তত ২১ আধাসেনা জওয়ানের। রবিবার সকালে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল কুলদীপ সিং-ও পৌঁছে যান সুকমা-বিজাপুর সীমান্তে। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল জানান, নিখোঁজ জওয়ানদের খুঁজতে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে সুকমা-বিজাপুর সীমান্ত এলাকায়। পরে জানা যায় নিখোঁজ জওয়ানদের অধিকাংশেরই খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে ২২ জনই নিহত হয়েছেন মাওবাদীদের গুলিতে।

ছত্তীসগঢ় প্রশাসন জানিয়েছে, মাওবাদীদের গুলিতে জখম আধাসেনা জওয়ানদের মধ্যে ২৪ জনের চিকিৎসা চলছে বিজাপুর হাসপাতালে। বাকি ৭ জনের জখম গুরুতর হওয়ায় তাদের পাঠানো হয়েছে রায়পুরের হাসপাতালে।

মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আধাসেনা জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন দু’জনেই। পরে টুইটারেও এ নিয়ে শোক প্রকাশ করেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.