সমস্ত প্রচেষ্টা বিফলে, প্রয়াত কিংবদন্তি দৌড়বিদ মিলখা সিং

স্ত্রীর পর তিনিও চলে গেলেন না ফেরার জগতে। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি দৌড়বিদ ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা সিং। শুক্রবার রাত ১১.৩০ মিনিট নাগাদ চন্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মিলখা। ওই হাসপাতালেই জীবনের শেষ কয়েকটি দিন চিকিৎসা চলছিল মিলখা সিংয়ের। পিজিআইএমইআর হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “মেডিক্যাল টিমের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, গুরুতর অবস্থা থেকে সেরে উঠতে পারেননি মিলখা সিংজি, সাহসী লড়াইয়ের পর ১১.৩০ মিনিট নাগাদ জীবনাবসান হয়েছে তাঁর।” মৃত্যুকালে মিলখা সিংয়ের বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। মিলখার স্ত্রী নির্মল কৌর পাঁচ দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন।
গত ২০ মে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন মিলখা সিং। বাড়ির এক পরিচারকের মাধ্যমে সংক্রমিত হন মিলখা এবং তাঁর স্ত্রী। চার দিন পরে ২৪ মে মোহালির হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ৩০ মে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। কিন্তু ৩ জুন শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় পিজিআইএমইআর-এর নেহরু হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় মিলখাকে। চিকিৎসার পর তাঁর কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। কোভিড আইসিইউ থেকে তাঁকে সাধারণ আইসিইউ-তে স্থনান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের যাবতীয় চেষ্টা ব্যর্থ করে প্রয়াত হন তিনি।১৯৫৮ সালের কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ‘উড়ন্ত শিখ’ মিলখা সিং। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানে চতুর্থ হয়ে অল্পের জন্য পদক পাননি। এশিয়ান গেমসেও ৪টি সোনা আছে মিলখার। ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে। ১৯৬০ সালে মিলখার নামের সঙ্গে ‘উড়ন্ত শিখ’ যোগ হয়। লাহোরে ‘ডুয়াল চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর সময় পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান মিলখার দৌড় দেখে তাঁকে এই নাম দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.