এক বছর পর কাটল জট, আজ থেকেই ফের ডুয়ার্সে দুই চা বাগানে কাজে ফিরলেন শ্রমিকরা

বছর খানেক ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল ডুয়ার্সের (Dooars) কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগান (Tea Garden)। কিছুতেই জট কাটছিল না। কিন্তু বছর ঘুরে ফের খুশির হাওয়া দুই চা বাগানে। শনিবার শ্রম কমিশনারের দপ্তরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে সব সমস্যা মিটে যাওয়ায় আজ থেকেই আবার কাজে ফিরলেন শ্রমিকরা। পুজোর আগে ফের কাজ শুরু হওয়ায় স্বভাবতই স্বস্তির হাওয়া শ্রমিক মহল্লায়। আগামী ৩ নভেম্বর ফের দুই চা বাগান নিয়ে হবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক।

সমস্যা ছিল অজস্র কালচিনি, রায়মাটাং – দুটি চা বাগান একই মালিকের অধীনে ছিল। শ্রমিকদের ঠিকমতো মজুরি না দেওয়া, মালিক-শ্রমিক বিরোধ, অসন্তোষের মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দুটি বাগান। কর্মহীন হয়ে পড়েন ৩ হাজারেরও বেশি চা শ্রমিক। জট কাটাতে একাধিকবার মালিক-শ্রমিক পক্ষকে আলোচনার টেবিলে হাজির করানো হয়েছে শ্রম দপ্তরের তরফে। কিন্তু সমাধানসূত্র মিলছিল না।

শনিবার শিলিগুড়ির ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে একাধিক শর্ত মেনে বাগান খুলতে রাজি হয় মালিকপক্ষ। বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে অক্টোবরের ৩ তারিখের মধ্যে। এছাড়া শ্রমিকদের পুজোর বোনাসের টাকাও দিয়ে দিতে হবে দ্রুতই। এছাড়া বাগান বন্ধ থাকাকালীন যাঁরা অবসর নিয়েছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি-সহ দিয়ে দিতে হবে তাঁদের সমস্ত প্রাপ্যও।

এর আগে দুই চা বাগানে কর্মীসংখ্যা ছিল প্রায় ৩২০০। এ বছর তা কমেছে। এই মুহূর্তে রায়মাটাং ও কালচিনি চা বাগানে শ্রমিক সংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। এঁরা কেউ যাতে কোনওরকম আর্থিক প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হন, মালিকপক্ষকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর পুজোয় তাঁদের জন্য ১২ শতাংশ বোনাস ধার্য করা হয়েছে। সেই টাকা যাতে পুজোর আগেই শ্রমিকরা হাতে পেয়ে যান, তাও নিশ্চিত করেছেন মালিকপক্ষ। সবমিলিয়ে, করোনা কালেও আর্থিক খরা কাটিয়ে চা বাগান দুটি পুনরুজ্জীবিত হওয়ায় অত্যন্ত খুশি শ্রমিকরা। এখন প্রার্থনা একটাই, কাজটা চলুক, মাঝপথে যেন ফের বাগান বন্ধ হয়ে না যায়। আগামী ৩ নভেম্বর ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে দুটি বাগানের পরিস্থিতি নিয়ে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.