স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে লালকেল্লায়। তবে এ বছর করোনা সংক্রমণের জন্য অনুষ্ঠান কর্মসূচিতে একাধিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এ বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সমস্ত পুলিশকর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীরা পিপিই পরে থাকবেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন মাত্র ২৫০ জন অতিথি। প্যারেড ও অনুষ্ঠান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে না কোনও স্কুল পড়ুয়া। তবে করোনা চিকিৎসায় যাঁরা সামনে থেকে লড়াই করছেন তাঁদের সম্মান জানানো হবে।
প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের মতে, অন্য বছর লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের ৯০০-১০০০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাশাপাশি থাকেন বহু সাধারণ মানুষ। কিন্তু এ বছর করোনা সংক্রমণের জন্য মাত্র ২৫০ জন থাকতে করতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
স্বাধীনতা দিবসে প্রতিবছর লালকেল্লায় মন্ত্রীদের একাংশ, কূটনীতিবিদ, বিদেশী অতিথি সহ কয়েক হাজার স্কুলপড়ুয়া অংশগ্রহণ করেন। স্কুল পড়ুয়ারা জাতীয় পতাকার রং এর সঙ্গে মিলিয়ে তিন রঙের প্রদর্শনী করেন। এ প্রসঙ্গে, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিকা ভরদ্বাজ জানান, এ বছর কোনও শিশুকেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। থাকবে না কোনও এনসিসি ক্যাডার। আমন্ত্রিতদের সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে বসার ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অন্যান্য কর্মীরা পিপিই পরে অংশগ্রহণ করবেন। প্রবেশ পথে স্যানিটাইজ পয়েন্ট করা হবে। তবে কি কি অনুষ্ঠান করা হবে তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সূত্রের খবর, আপাতত একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য। আগস্টের ওই সময় দেশে কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হবে।