ফের কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। তাও এক জায়গায় নয়, একাধিক জায়গায়। জোড়া সংঘর্ষের ফলে এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জঙ্গির মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে কুলগামের (Kulgam) সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে এক জঙ্গি। বাকি দুজন নিহত হয়েছে হান্দওয়ারায়। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম সংঘর্ষটি হয় কুলগামে। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় জঙ্গিদমন অভিযানে যায় সেনা এবং কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। তল্লাশি চলাকালীন শুরু হয় গুলির লড়াই। গোলাগুলিতে এক জেহাদি নিকেশ হয়। পালিয়ে বাঁচে তার দুই সঙ্গী। তাদের খোঁজে তল্লাসি চলছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য।
অন্যদিকে, হান্দওয়ারায় আরেকটি সংঘর্ষে দুই লস্কর জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন আবার কুখ্যাত লস্কর (Lashkar-e-Taiba) কম্যান্ডার নাসিরুদ্দিন লোন। যে কিনা সোপর এবং হান্দওয়ারায় (Handwara) একাধিক সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত। গত ১৮ এপ্রিল সোপরে ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। ৪ মে হান্দওয়ারায় শহিদ হন আরও ৩ সিআরপিএফ জওয়ান। দুই ঘটনার সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই লস্কর কম্যান্ডার। তার পাশাপাশি তার এক সঙ্গীকেও নিকেশ করেছে যৌথ বাহিনী।
গত বছর ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবাও। তবে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে যেন স্বাভাবিক হওয়ার পথে উপত্যকা। যার জেরে গতকালই কাশ্মীর থেকে ১০ হাজার আধাসেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরদিনই ফের প্রকাশ্যে এল জঙ্গি কার্যকলাপের খবর।