দেশের চাকরির সংস্থানকে আরও মজবুত করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা (Common Entrance Test) পরিচালনার জন্য জাতীয় নিয়োগ সংস্থা (National Recruitment Agency) তৈরিতে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয়মন্ত্রক। যে সকল যুবকরা চাকরি খুঁজছেন তাঁদের জন্য লাভজনক হতে চলেছে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। বুধবার এমন ঘোষাণা করেছেন প্রকাশ জাভড়েকর।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। এই সিদ্ধান্তে নিয়োগপ্রক্রিয়া, সিলেকশন, প্লেসমেন্টে সুবিধা দেবে। পাশাপাশি যাদের জীবনে অসুবিধা অন্তরায় মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য আনবে”।
কেন্দ্রীয় সরকারের বর্তমানে ২০টি নিয়োগ সংস্থা আছে তিনটি সংস্থার পরীক্ষাকে সাধারণ হিসেবে বেছে নিয়েছি। আমরা আশাবাদী যে ‘কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট’ পরিচালনা করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে সরকারের সচিব সি চন্দ্রমৌলি। ২.৫ লাখের কাছাকাছি চাকরির জন্য চেষ্টা করেন।
পাবলিক সেক্টর এজেন্সিগুলিকে এখন একটিমাত্র অনলাইন এন্ট্রান্স টেস্ট দিতে হবে। সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষার মেরিট লিস্টের বৈধতা বজায় থাকবে ৩ বছর। সূত্রের খবর, সিইটি-র মাধ্যমে ২০২১ সাল থেকেই পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদী সরকারের। কারণ, চলতি বছরের পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে, এই সিইটি-র মাধ্যমে গ্রুপ-বি ও গ্রুপ-সি বিভাগেই কর্মী নিয়োগ করা হবে। সাধারণ ভাষায়, এই দুই বিভাগ নন-গেজেটেড। এই দুই বিভাগে কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার সরকারি পদের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। আনুমানিক ২.৫ কোটি পরীক্ষার্থী ফি বছর আবেদন করেন। সূত্রের খবর, প্রথমদিকে বছরে স্রেফ একবার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে, পরবর্তীক্ষেত্রে, প্রয়োজনে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। জানা গিয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় একটিই রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল করা হবে। তার মাধ্যমেই অনলাইনে পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য একবারই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে পরীক্ষার্থীদের এবং একবারই রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে।
আরও জানা গিয়েছে, সব পরীক্ষার জন্য একটাই কমন সিলেবাস থাকবে। দেশের প্রতিটি জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র থাকবে। বয়সসীমার মধ্যে একজন পরীক্ষার্থী যতবার খুশি পরীক্ষায় বসতে পারবেন।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিভিন্ন বোর্ডের নিজ নিজ পরীক্ষা নেওয়ার ফলে, অনেকক্ষেত্রে পরীক্ষার তারিখের সংঘাত দেখা দিত। যার জেরে পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি হত। কিন্তু, এখন, সেই সমস্যা আর থাকবে না। তিন নিয়োগের জন্য একটি অভিন্ন পরীক্ষা দিলেই হবে। পাশাপাশি, এতদিন আলাদা আলাদ পরীক্ষার জন্য পৃথকভাবে টাকা জমা দিতে হত পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু, অভিন্ন পরীক্ষায় একবারই আবেদন ও টাকা জমা দিতে হবে।