ভরতির টাকা নিয়ে দর কষাকষির মাঝেই ডিসান হাসপাতালের (DESUN Hospital) সামনে অ্যাম্বুল্যান্সে মৃত্যু হয়েছিল করোনা রোগীর (Corona)। সেই ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল স্বাস্থ্য কমিশন। মামলার শুরুতেই ডিসান হাসপাতালকে ১০ লক্ষ টাকা জমা রাখার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য কমিশন। সেইসঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রোগীদের থেকে কোনও অগ্রিম নিতে পারবে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিন মামলার শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুতর। আগেই হাসপাতালের লাইসেন্স সাসপেন্ড হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু অনেক রোগী চিকিৎসাধীন তাই সাসপেন্ড করা হল না। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তমলুকের বাসিন্দা মৃত বৃদ্ধা লায়লা বিবির স্বামী। তাই চিকিৎসা করাতে কলকাতা এসেছিলেন দম্পতি। কিছুদিন আগে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার স্বামীর। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃ্দ্ধাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষা (COVID Test) করা হলে জানা যায়, তিনি আক্রান্ত। কিন্তু করোনা রোগীদের জন্য কোনও ব্যবস্থা ছিল না ওই হাসপাতালে। সেই কারণেই রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। সেই মতো ওই করোনা আক্রান্তকে কলকাতার ডিসান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবারের অভিযোগ, ভরতির জন্য হাসপাতালের তরফে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু, সেই মুহূর্তে পুরো টাকা ছিল না তাঁদের কাছে। শেষে ২ লক্ষ ৮০ টাকা জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। এই টালবাহানা শেষে দেখা যায় অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিজনরা। সেই ঘটনাতেই ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে স্বাস্থ্য কমিশন। আজ, বুধবার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান।