ব্যাংক, রেল বা স্টাফ সিলেকশনের নিয়োগের জন্য এবার থেকে আর আলাদা আলাদা পরীক্ষা দিতে হবে না। চাকরিপ্রার্থীদের হয়রানি কমাতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত নন-গেজেটেড পোস্টে নিয়োগের জন্য একটি অভিন্ন এজেন্সি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এই এজেন্সির মাধ্যমে সব নন-গেজেটেড পোস্টের চাকরির জন্য একটিই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবং সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই আলাদা আলাদা বিভাগে চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে।
প্রতিবছর কমবেশি ১ লক্ষ ২৫ হাজার সরকারি চাকরির জন্য প্রায় আড়াই কোটি চাকরিপ্রার্থী বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা দেন। আলাদা আলাদা চাকরির জন্য আলাদা আলাদা বোর্ডে পরীক্ষা দিতে হয়। যেমন রেলে নিয়োগের জন্য রেল নিয়োগ বোর্ড(RRB), সরকারি অফিসের চাকরির জন্য স্ট্রাফ সিলেকশন কমিশন (SSC) বা ব্যাঙ্কিং পরীক্ষার জন্য আইবিপিএসের (IBPS) মতো পরীক্ষা দিতে হয়। এতে একদিকে যেমন চাকরিপ্রার্থীদের আলাদা আলাদা পরীক্ষার জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। তেমনি ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে পরীক্ষা পর্যন্ত বহু হয়রানিরও শিকার হতে হয়। সেই সঙ্গে ব্যয় হয় প্রচুর অর্থও।
এবার এই সব পরীক্ষার্থীর জন্য সুখবর নিয়ে এল কেন্দ্র। সমস্ত নন-গেজেটেড পদে নিয়োগের জন্য তৈরি হল অভিন্ন নিয়োগ বোর্ড। যার নাম দেওয়া হয়েছে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (National Recruitment Agency)। এই এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইনে নেওয়া হবে কমন এলিজিবিলিটি টেস্ট। অনলাইন পরীক্ষায় পাশ করলেই আবেদন করা যাবে ব্যাংক, রেল-সহ অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এই কমন এলিজিবিলিটি টেস্টের (Common Eligibility Test) মেরিট লিস্টের মেয়াদ হবে তিন বছর। অর্থাৎ একবার পরীক্ষায় পাশ করলে পরবর্তী তিন বছর বিভিন্ন পোস্টের চাকরির জন্য আবেদন করা যাবে। এর জন্য আলাদা আলাদা করে আর পরীক্ষা দিতে হবে না। গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় বাজেটের সময়ই এই ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তাঁর সেই বাজেট প্রস্তাবে বুধবার ছাড়পত্র দিল মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, আগামী বছর থেকেই এই অভিন্ন পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের দাবি, স্বাধীন ভারতের ইতহাসে এটি অন্যতম বড় সংস্কার। সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা এতে উপকৃত হবেন।