অবশেষে ময়দান খোলার অনুমতি দিল রাজ্য সরকার। তবে জানিয়ে দেওয়া হল, যাবতীয় সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। যদি কেউ অমান্য করে তাহলে সেই দলকে আর প্র্যাকটিস করার অনুমতি দেওয়া হবে না। মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই ময়দান বন্ধ। কেউ ময়দানে খেলার অনুমতি পায়নি। কিন্তু শীঘ্রই শুরু হবে দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগের খেলা। বাংলার দু’টি দল ভবানীপুর ও মহামেডান দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগে খেলবে। তাই এই দু’টি দলকে প্র্যাকটিস করার অনুমতি দিল সরকার।
এদিন দু’টি দলের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। ভবানীপুরের পক্ষ থেকে কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী গেলেও মহামেডান থেকে এসেছিলেন ক্লাব সচিব ওয়াসিম আক্রম। সকলের সামনে নিজস্ব দপ্তরে বসে রাজ্য ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়ে দেন, স্পেশ্যাল অনুমতি হিসাবে এই দু’টি দলকে প্র্যাকটিস করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার থেকে দু’টি দল চাইলে মাঠে নেমে যেতে পারে। তবে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলছিলেন, “আন্তরিকভাবে চাই, দু’টি দলের মধ্যে একটা দল আই লিগের মূলপর্বে খেলুক। তাই ব্যক্তিগত উদে্যাগ নিয়ে দু’টি দলকে প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কিন্তু যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে দু’টি দলকে। যারা নিয়ম ভঙ্গ করবে তাদের কিন্তু প্র্যাকটিস করতে দেওয়া হবে না।”
সেই সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রী এও জানিয়ে দেন, ঘেরা মাঠেই দু’টি দলকে প্র্যাকটিস করতে হবে। তাই নিজেদের মাঠে নেমে পড়ছে মহামেডান। ভবানীপুর নামবে মোহনবাগান মাঠে। ক্রীড়ামন্ত্রী বলছিলেন, “ঘেরা মাঠে প্র্যাকটিস করলেও বাইরের কেউ মাঠে ঢুকতে পারবে না। একটা দল বড়জোর ৩০ জনকে নিয়ে মাঠে নামতে পারবে।”
প্র্যাকটিস করার অনুমতি দিলেও ফেডারেশন এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারছে না কবে থেকে দ্বিতীয় ডিভিসন আই লিগ শুরু হবে। ফেডারেশন যে চিঠি ক্রীড়ামন্ত্রীকে দিয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে টুর্নামেন্ট হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কোনও মুহূর্তে খেলা শুরু হতে পারে। তবে ময়দানের অনেকে মনে করছেন, কলকাতার দু’টি দলের মধে্য যে কোনও একটা দল আই লিগের মূলপর্বে খেলবে। দ্বিতীয় ডিভিসনের খেলা হবে পাঁচটা দলকে নিয়ে।