চলতি বছরের মধ্যেই করোনার (CoronaVirus) ভ্যাকসিন বাজারে আনার লক্ষ্য কেন্দ্র সরকারের। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কিছুদিন ধরেই কিছুদিন ধরেই সরকারের অন্দরে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র মিললেই তার উৎপাদন এবং বণ্টন শুরুর কাজ যাতে তাড়াতাড়ি করা যায় তার জন্য নানান স্তরে আলোচনাপর্বও চলছে জোরকদমে। এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই মঙ্গলবার ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
ভারতের যে তিনটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে তার মধ্যে একটি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এক-দু দিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে বলেই কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এদিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) সাংবাদিক বৈঠকে দেশে করোনা মোকবিলার জন্য তৈরি করা টিমের অন্যতম প্রতিনিধি নীতি আয়োগের (Niti Ayog) সদস্য বিনোদ পল জানিয়েছেন, “ভ্যাকসিনের বিষয়ে এখন এতটুকুই বলতে পারি যে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের দিনেই দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছিলেন ভারতে তিনটি ভ্যাকসিনের উপর কাজ চলছে এবং সেগুলি বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি আজকালের মধ্যেই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে।” যে কোনও ভ্যাকসিনেরই ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা শুধুমাত্র বেশি মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয় বলেই নয়, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পর্ব সম্পন্ন হলেই ভ্যাকসিনটির লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যায়। লাইসেন্সের আবেদনের পাশাপাশিই ভ্যাকসিনের চতুর্থ পর্যায়ের ট্রায়ালও চলতে থাকে সমানতালে।
স্বাভাবিকভাবেই এদিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরুর কথা ঘোষণা হওয়ার পরেই দেশের মানুষ কবে তার নাগাল পাবে সেই প্রশ্নই সবার আগে সামনে এসেছে। সবাই অধীর আগ্রহে তার অপেক্ষায়। যদিও কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে কোন ভ্যাকসিন আজ থেকে ট্রায়ালে যাচ্ছে। তবে সূত্রের খবর, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডই ভারতের মাটিতে প্রথম তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যাচ্ছে। কারণ, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন এবং জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিন সবেমাত্র প্রথম পর্যায় শেষ করেছে। শোনা যাচ্ছে দেশের মোট ২০টি জায়গায় ১৬০০ মানুষের উপর এই ট্রায়াল শুরু হবে। যদিও সরকারিভাবে এ নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি। সরকার খানিকটা ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখারই চেষ্টা করছে।