পাক সীমান্তে লড়াকু তেজস যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল ভারতীয় বায়ুসেনা

দেশের পশ্চিমে পাক সীমান্তে এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল ভারতীয় বায়ুসেনা। লাদাখ
সীমান্তে এখনও চিনের সাথে ভারতের সংঘাত জারি রয়েছে। শুধু তাই নয়, এখনও ভারতীয় ভূখণ্ডের
বেশ কিছু জায়গায় চিনের দখলদারি রয়েছে বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে দেশের পশ্চিমে পাক
সীমান্তে এলসিএ তেজস যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল ভারতীয় বায়ুসেনা।   

একাধিকবার প্রশাসনিক বৈঠক সত্ত্বেও
চিন ভারতীয় ভুখন্ড থেকে সরতে নারাজ। এমনকি অস্ত্রও সংগ্রহ করা শুরু করেছে লালফৌজ। চিনের
সাথে সমস্যা সমাধানের এখনও কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বরং ভারতের একাধিক এলাকা দখল
করে নিজেদের দেশের সীমানা বাড়াতে সচেষ্টা চিন। এই পরিস্থিতিতে দেশের উত্তর ও পশ্চিম
সীমান্তে ভারতের সবকটি ফরওয়ার্ড বেসকে তৈরি রাখা হয়েছে। এমনি ২৪ ঘন্টা যাতে  অপারেশন চালানো যায় সেভাবেই  বেসগুলিকে তৈরি করা হচ্ছে। লাদাখ সীমান্তে চিনের
আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখেই  ৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান
এনেছে ভারত। গত ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তেজস যুদ্ধবিমানের
ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই যুদ্ধবিমান সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে
তৈরি হলেও যথেষ্ট শক্তিশালী। এই যুদ্ধবিমানের প্রথম স্কোয়ার্ড্রনটিকে আপাতত কাজে লাগানোর
অনুমতি পেয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তারপরই পাক সীমান্তে মোতায়েন করা হল তেজসকে।

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই আরও শক্তিশালী
হয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। হ্যাল বা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের কাছ থেকে ৮৩টি
তেজস যুদ্ধ বিমান কেনার কথা জানিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই তেজস
বিমানের ডেলিভারি দেওয়া শুরু করে দেবে বলে জানিয়েছে হ্যাল। দেশেই তৈরি এই যুদ্ধবিমানে
রয়েছে একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে,
আপাতত ২০টি তেজস ফাইটার জেটকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই ২০টি জেট ফাইটারকে
৪৫ নম্বর স্কোয়ার্ড্রেনের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এরপর আরও ২০টি বিমান হাতে পাওয়া
যাবে, সেগুলিকে ১৮ নম্বর স্কোয়ার্ড্রেনে সামিল করা হবে। আর এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে
সংঘাতের মাঝেই দেশের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিতে তেজস মোতায়েন করল
বায়ুসেনা।

উল্লেখ্য, গত মার্চেই পরীক্ষামূলকভাবে
আকাশে উড়েছিল তেজস। এই ফাইটার জেটে একাধিক উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে । যেমন মধ্য গগনেই
এর জ্বালানি ভরার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিয়ন্ড ভিজুয্যাল রেঞ্জে মিসাইল সিস্টেম।
তেজস যে ভারতীয় বায়ুসেনাকে এক নতুন ভরসা জুগিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.