তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে খবর এবং গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক শীর্ষ কর্তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়।

সোমবার, চতুর্থ দফায় ভোট হয়েছে আসানসোলে। সকাল থেকেই শিরোনামে ছিলেন বাবুল। কখনও বিজেপি প্রার্থীকে আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল, ভেঙে দিয়েছে গাড়ির কাচ, আবার কখনও বাবুল বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসার বা মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে।

মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিশির বাজোরিয়াদের সঙ্গে বাবুলও গিয়েছিলেন। একাধিক অভিযোগ জানানো হয়েছে কালকের ভোট নিয়ে।

কিন্তু এ দিন বিকেলে টুইট করে বাবুল লেখেন, “কলকাতা নির্বাচন কমিশনের একজন আধিকারিক তৃণমূলের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। তাঁর পদ ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃত আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছেন। জনমানসে আমাকে হেয় করছেন। তিনি ‘এক এবং অদ্বিতীয়র’ নির্দেশে কাজ করছেন। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছি।”

কিন্তু কে এই এক জন?

বাবুলের টুইটের কমেন্ট বক্সে একজন প্রশ্ন করেন কে? আরিজ আফতাব (মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক)? জবাবে বাবুল তাঁকে লেখেন, “নাহ। উনি একজন পুরদস্তুর ভদ্রলোক।” তা হলে কে? বাবুল অবশ্য নাম প্রকাশ করেননি। তবে অনেকের মতে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক কর্তার বিরুদ্ধে বাবুলের বেশ কয়েক দিন ধরেই এই অভিযোগ।

গত সপ্তাহে এক বার কমিশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করা হয়, প্রচার সঙ্গীত নিয়ে বাবুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে। পরে আবার কমিশনের তরফে জানানো হয়, না তেমন কিছু হচ্ছে না। এফআইআর-এর কথা ভুলবশত বলা হয়ে গিয়েছে।

এ নিইয়ে বাবুল-সহ বিজেপি নেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত আধিকারিক সঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে ‘ইলেক্টোরাল ড্যামেজ’-এর অভিযোগ তুলেছিলেন।” বাবুলের এই টুইট সে দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মত অনেকের। এখন দেখার কবে মামলা রুজু করেন আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.