ফের দুঃসংবাদ! প্রয়াত পণ্ডিত যশরাজ (Pandit Jasraj)। সোমবার মার্কিন মুলুকের নিউ জার্সিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পদ্ম বিভূষণপ্রাপ্ত এই দিগগ্বজ শিল্পী। সূত্রের খবর, অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মেয়ে দুর্গা যশরাজই বাবার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন। পদ্ম বিভূষণ, পদ্ম ভূষণ এবং পদ্মশ্রীর মতো একাধিক পুরস্কার রয়েছে পণ্ডিত যশরাজের ঝুলিতে। শাস্ত্রীয় সংগীত দুনিয়ার এই নক্ষত্রপতনে শোকস্তব্ধ শিল্পীমহল।
১৯৩০ সালের জানুয়ারি মাসে হরিয়ানার হিসার জেলার পিলি মন্দোরিতে জন্মগ্রহণ করেন যশরাজ। মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি অনুরাগ ছিল শৈশব থেকেই। বাবা পণ্ডিত মতিরামের কাছেই প্রথম তালিম। চার বছর বয়সে বাবাকে হারান যশরাজ। তাঁর বড় দাদা পণ্ডিত প্রতাপ নারায়ণও শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী ছিলেন, যিনি কিনা বলিউডের খ্যাতনামা সংগীতকারজুটি যতীন-ললিতের বাবা।
ছোটবেলার অনেকটা সময় হায়দরাবাদে কাটালেও পরবর্তীতে গুজরাতের সানন্দে যাতায়াত করতেন মেওয়াতি ঘরানার সংগীতের তালিম নেওয়ার জন্য। মহারাজ জয়বন্ত সিং বাঘেলার জন্যও একাধিকবার সংগীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় চলে আসেন পণ্ডিত যশরাজ। রেডিওতে শাস্ত্রীয় সংগীত গাওয়ার তালিম দিতেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে শাস্ত্রীয় সংগীতে তাঁর যা অবদান, তা সত্যই অনস্বীকার্য।