অযোধ্যার রামমন্দির হয়ে উঠুক আধুনিক ভারতের রাষ্ট্রমন্দির

রাম যেমন গোটা ভারতের বিবিধতার মধ্যে একতার প্রতীক, তেমনি তার মন্দির হয়ে উঠবে আধুনিক ভারতের রাষ্ট্রমন্দির। এই মন্দিরের দ্বার চিরদিন সবার জন্য ভোলা Iথাকবে। সব ধর্ম সব সম্প্রদায়ের মিলন মন্দির হয়ে উঠবে অযোধ্যার রামমন্দির।

শুধু আমাদের দেশেরই নয়, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হিন্দু সমাজের বড়ো প্রিয়, বড়ো পবিত্র একটি জায়গার নাম অযোধ্যা। সরযূনদীর তীরে এই প্রাচীন নগরীতেই একসময় রাজা রামচন্দ্র বিরাজ করতেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই আমাদের তীর্থভূমি অযোধ্যা। এ দেশের হিন্দুসমাজের কাছে রামচন্দ্র শুধু শ্রেষ্ঠ রাজাই নন, তিনি ভগবান। তিনি প্রজাহিতৈষী রাজা, তিনি শ্রেষ্ঠ পতি, শ্রেষ্ঠ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা, শ্রেষ্ঠ পুত্র, শ্রেষ্ঠ ভক্তবৎসল। রামচন্দ্রের কাহিনিই তো আমাদের প্রাচীনতম মহাকাব্য রামায়ণ। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জানিয়েছেন, রামায়ণ রামচন্দ্রের রাবণের উপর বিজয়ের কাহিনিই নয়, তা আমাদের গৃহজীবনের শ্রেষ্ঠত্বের কাব্য। রামায়ণ মহাকাব্যকে কেন্দ্র করে আমাদের গৃহ এবং পরিবার-কেন্দ্রিক ভারতসংস্কৃতি আবহমানকাল ধরে তার গৌরব ধরে রেখেছে। এই চলিষ্ণু ও জয়িষ্ণু ভারতসংস্কৃতির মূলকথা রামচন্দ্র। কিন্তু আমাদের এমন দুর্ভাগ্য যে রামের জন্মস্থানের মন্দির পুনরুদ্ধার করতেও হিন্দুসমাজকে শতকের পর শতক ধরে অপেক্ষা করতে হলো, দশকের পর দশক ধরে আইনি লড়াই লড়তে হলো। এই লড়াইয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে গেল, বহুজন প্রাণ বলিদান হলো, বহু রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আন্দোলন হলো। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের এক সুচিন্তিত রায়ে প্রশস্ত হলো রামমন্দির নির্মাণের পথ। গত ৫ আগস্ট এই মন্দির নির্মাণের কাজ ভিত্তিপুজোর মাধ্যমে শুভ সূচনা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে তাই ২০২০ সালের ৫ আগস্ট একটি পবিত্র দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রামমন্দির নির্মাণ নয়, রামমন্দির পুনর্নির্মাণ। আগে সে মন্দির ছিলই। এ তো ঐতিহাসিক সত্য। বাবরের সেনাপতি মীর বাকি তা ধ্বংস করে বাবরের নামাঙ্কিত মসজিদ বানিয়েছিল। মধ্যযুগে বহুমন্দির অত্যাচারী মুসলমান শাসকেরা লুঠ করেছে, ধ্বংস করেছে। ধ্বংসস্থলে নির্মিত হয়েছে মসজিদ। সেটা হয়তো তাদের ধর্মেরই অঙ্গ। কিন্তু সেই তিক্ত ইতিহাসের কথা এখন আর না বলাই ভালো। এখন সামনে এগিয়ে যাবার সময়, ভেদাভেদ ভুলে যাবার সময়। আমাদের মনে রাখা দরকার, এ দেশের মুসলমান সংগঠন মন্দির নির্মাণে অর্থসাহায্যও করেছেন বলে শুনেছি। তবে দু’একজন মুসলমান রাজনৈতিক নেতা বিষয়টিকে তো সহজে মেনে নিতে পারছেন না। কারণ তাঁদের রাজনীতির মূল কথাই হলো বিদ্বেষ। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে ধর্মকে নিয়েই যারা রাজনীতি করেন, নির্বাচনের জন্যই যাঁরা মন্দির, মসজিদ, গির্জায় ছুটোছুটি করেন আর বিভিন্ন ভেক ধারণ করেন, তাদের রাজনীতি বন্ধ করেদওয়া উচিত। ধর্মকে নিয়ে যাঁরা রাজনীতি করেন তারা ভেবে পাচ্ছেন না এখন।

কোথাও কোনো নির্বাচন নেই, তাহলেও প্রধানমন্ত্রী রামমন্দির নির্মাণের ভিত্তিপুজোয় এলেন কেন? কেনই বা উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার এই করোনার সংকটকালে মন্দির নির্মাণের রাজসূয় যজ্ঞ করলেন? আসলে তথাকথিত রাজনীতিবিদেরা সবকিছুকেই ভোটের নিক্তিতে বিচার করেন। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছেন সময় অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এদেশের যুব সমাজের ও সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনা আর আগের মতো নেই। একান্তই ভোটকেন্দ্রিক রাজনীতি এখন আর চলছে না।

পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী সমাজের ভাবনা কী রামমন্দির প্রসঙ্গে? এই বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজ মনে করেন রামমন্দির নির্মাণ করে কী হবে? কী লাভ তাতে? কমিউনিস্টরা বলেন রামের জন্য নয়, মন্দিরের জন্য নয়, আসল লড়াইটা হলো ভাত-কাপড়ের লড়াই। তারা নাকি সেই লড়াই-ই লড়ছেন। বাম বুদ্ধিজীবী সমাজের মূল সন্দেহ রামচন্দ্র বলে কেউ কোনোদিন ছিলেন কিনা সে নিয়েই। তাদের কাছেমানুষের কয়েক হাজার বছরের ভক্তি ও বিশ্বাসের কোনো মূল্য নেই। তাই এ রাজ্যের সুশীল সমাজ সুযোগ পেলেই ভুলিয়ে দিতে চান যে রাম বলে কেউ কোনোদিন ছিলেন। এমনকী কচিকাচাদের মনেও রাম কেন্দ্রিক ধারণাটিকে নিজেদের মনের মতো করে তারা গড়ে তুলতে চান। রাম এই নামটিকে কতদূর কষ্টকল্পনা করে ইংরেজি রোম শব্দের সঙ্গে মেলানো যায় এবং অতীতে যাঁরা ঘুরে ঘুরে বেড়াতেন তারা সবাই যে রাম – এ ধরনের অবান্তর কল্পনা করা যায় তা পেতে পারি এ রাজ্যের ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস পুস্তকে। আমরা তো জানি আরও অনেক বই থেকে রাম নামকেই তুলে দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।নইলে রামধনু কোনোদিন রংধনু হয় ! এসব কৃতিত্ব এ রাজ্যের তথাকথিত বিদ্বজ্জনদেরই। এ রাজ্যের মানুষের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে যে রাম অবাঙ্গালিদের উপাস্য দেবতা।

বাঙ্গালি রীতিনীতির সঙ্গে রাম-ভাবনার কোনো মিল নেই বলে আমাদের শেখানো হয়েছে। রাম ও সীতা যেন একান্তই বহিরাগত। কবি কৃত্তিবাস যেন বিরাট এক ভুল করে রামায়ণের বাংলা অনুবাদ করে ফেলেছিলেন! সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তার বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘জাতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য’তে দেখিয়েছেন দীনেশচন্দ্র সেন কেন সীতাকে ‘ঘাঘরাপরা বিদেশিনী’ এই আখ্যা দান করিয়া, বাঙ্গলার হৃদয় হইতে দূর করিয়া দিতে চাহেন। রামায়ণী কথা’র লেখক এভাবে সীতাকে দেখিয়েছেন তাঁর প্রিয় এবং প্রচারিত পল্লীগাথার নায়িকাদের প্রতি পক্ষপাত দেখানোর জন্য। অন্য কোনো কারণে নয়। সেই কবে কৃত্তিবাস আর্য রমণী সীতাকে বাঙ্গালির ঘরের বধু করে দিয়েছেন তবু কেন আমরা এখনো রাম নামে বহিরাগতের গন্ধ খুঁজব? ভারত সংস্কৃতির মূলকথা রামচন্দ্র এটা এ রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা যত দ্রুত বোঝেন ততই মঙ্গল। ভারত সংস্কৃতিকে বাদ দিলে বাঙ্গালির সংস্কৃতি বলে যে কিছু থাকে না তা সুনীতিকুমারের মতো পণ্ডিতেরা আমাদের বহু আগেই জানিয়ে দিয়ে গেছেন।

গত ৫ আগস্ট রামমন্দিরের ভিত্তিপুজোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্মাণকাজ শুরু করে প্রধানমন্ত্রী খুব মর্মস্পর্শী একটি বক্তব্য রেখেছেন। মঞ্চে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্রে সরসঙ্ঘচালক ডাঃ মোহনরাও ভাগবত ও রামমন্দির পুনরুদ্ধার আন্দোলনের আজীবন সংগ্রামী স্বামী নিত্যগোপাল দাস। মঞ্চের নীচে শ্রোতাদের মধ্যে ছিলেন সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এ দেশের ৩৬ টি সাধক পরম্পরার ১৪০ জন সাধু-সন্ত। দূরদর্শনের সম্প্রচারে সারা ভারত এই অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠ দেখেছে। পুজোপাঠের পর অনুষ্ঠারে শেষ বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সুবক্তা সবাই জানেন। কিন্তু তিনি যে সাজ-সজ্জা-শৌখিনতাতেও দেশের এক নম্বর ব্রান্ড তা আমরা অনেক সময়ই ভুলে যাই। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি এলেন সাদা ধুতি, হালকা সোনালি রঙের পাঞ্জাবি এবং মানানসই গেরুয়া উত্তরীয় পরে। শ্বেতশুভ্র লম্বা কুঞ্চিত কেশ আর দীর্ঘদিনের বেড়ে ওঠা দাড়ি-গোঁফে তাকে মনে হচ্ছিল যেন কোনো ঋষিপুরুষ। বয়স তাঁর সত্তর ছুঁই ছুঁই অথচ চোখ মুখ থেকে বেরিয়ে আসছিল যেন দিব্য বিভা। এই মন্দির কী ও কেন – প্রধানমন্ত্রী তা যেমন বোঝালেন তেমনি শুধু ভারতই নয়, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেও রাম ও রামায়ণের প্রভাব কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত তা আমাদের আর একবার জানিয়ে দিলেন। মন্দির প্রসঙ্গে ‘আধুনিক’ কথাটির উপর বেশি জোর দিলেন। রামচন্দ্রের ভাবনা, তাঁর প্রজাহিতৈষী চিন্তা, জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা সব কিছুকে ছুঁয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়ে এলেন গান্ধীর ‘রামরাজ্য’ কথাটির প্রসঙ্গ। সবকিছু মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্য আমাদের শোনার সেরা বক্তব্যগুলির একটি।

কিন্তু সমালোচনা তো করতেই হবে। তাই সন্ধ্যায় আমাদের রাজ্যের চ্যানেলে চ্যানেলে চলল সেই বক্তব্যের কাটাছেঁড়া। প্রধানমন্ত্রী নাকি ৫ আগস্টকে ১৫ আগস্টের সঙ্গে তুলনা করে রামমন্দির নির্মাণকেও দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ বলেছেন। কিন্তু তিনি তা বলেননি। তিনি যা বলেছেন তার মূল কথা হলো ১৫ আগস্ট যেমন অনেক মানুষের, স্বাধীনতা সংগ্রামীর ত্যাগ ও বলিদানের প্রতীক, তেমন ৫ আগস্টও হলো অনেক মানুষের শতকের পর শতকের লড়াই ও আত্মবলিদানের প্রতীক। দুটি দিন দু’রকমের সংগ্রামের পর সফলতার দুটি প্রতীক। এই কথায় ভুল কিছু নেই। তিনি কখনোই মন্দির নির্মাণকে স্বাধীনতার দ্বিতীয় লড়াই বলেননি। কিন্তু না বললেও তর্ক করতে অসুবিধা কোথায়? বাংলা নিউজ চ্যানেলের সান্ধ্য আসরগুলি ধারে ও ভারে দিন দিন বড়ো দুর্বল অসার হয়ে উঠছে। মনে হয় মানুষ এগুলি আর দেখেন না, এঁদের কথা আর শোনেন না।

রাম যেমন গোটা ভারতের বিবিধতার মধ্যে একতার প্রতীক, তেমনি তার মন্দির হয়ে উঠুক আধুনিক ভারতের রাষ্ট্রমন্দির। আমরা চাইব এই মন্দিরের দ্বার চিরদিন সবার জন্য খোলা থাকুক। কোনো সংকীর্ণতাকে এই মন্দির যেন প্রশ্রয় না দেয়। সব ধর্ম সব সম্প্রদায়ের মিলন মন্দির হয়ে উঠুক অযোধ্যার রামমন্দির। অতীতে এক একটি মন্দির রাজার দ্বারা রাজকোষের অর্থে গড়ে উঠেছে। এই আধুনিক ভারতের মন্দির রাজকোষের অর্থে নির্মিত হবে না। জনগণের দানে নির্মিত হবে। আমরা জানি মন্দির নির্মাণ ট্রাস্ট মন্দির নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত। এও জানি মন্দির নির্মাণের জন্য দেশ-বিদেশের বহু মানুষ ও সংগঠন ধর্মমত ও বিশ্বাস নির্বিশেষে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ১৯৮৯ সাসে শিলাপুজোর সময় দেশের কয়েক কোটি সাধারণ, দরিদ্র মানুষ মন্দির নির্মাণকল্পে মাথাপিছু ১ টাকা দিয়েছেন। সবার উদ্যোগে, সাহায্যে, সবার পরশ নিয়ে রামমন্দিরের পুনর্নির্মাণ হতে চলেছে।

অযোধ্যার রামমন্দির হবে ভব্য, সুন্দর, বৃহৎ। মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সংগ্রহশালা, গবেষণাগার, প্রেক্ষাগৃহ, অতিথিভবন, থাকবে সবুজের সমারোহ, থাকবে জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা সবকিছুই। এই অতি প্রাচীন নগরীতে মন্দিরকে কেন্দ্র করেই সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পুণ্য অর্জন ও পর্যটনের কারণে বহু মানুষ এখানে আসবেন। এলাকার অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে সে কথাও সত্য। কিন্তু আসল বিষয় হলো মন্দিরের ‘আধুনিক’রূপ। প্রধানমন্ত্রী এই শব্দটির উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। মন্দির পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে যেন আধুনিকতা থাকে। এই মন্দির আগামীদিনের মানুষের কাছে হিন্দুধর্মের উদারতার, তার সবাইকে গ্রহণ করার, তার মুক্ত চিন্তার কথা যেন প্রচার করতে না ভোলে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই মন্দির যেন নরকে নারায়ণ’ হিসেবে দেখে, বর্তমানকে অতীতের সঙ্গে জোড়ে। হিন্দু ধর্মের সত্য ও অহিংসার কথা এই মন্দির যেন কোনোদিন ভুলে যেতে না দেয়। তাপিত চিত্তে শান্তির আশায় আসা মানুষ এখানে যেন তাঁর জীবনের পরম শান্তি খুঁজে পান। অভুক্ত নিরাশ্রয় মানুষ যেন কয়েকদণ্ডের জন্য হলেও এখানে ঠাই পেতে পারেন। এমনকী চূড়ান্ত নাস্তিকও যেন এখানে এসে ঈশ্বর অনুসন্ধানের পথ খুঁজে পান। শুধু জাঁকজমকে, বৃহদায়তনে, নিজের সম্পদের বাহুল্যে, তার গগনচুম্বী রূপে এই মন্দির যেন আমাদের চক্ষু না ভোলায়। পবিত্রতা, অন্তরের প্রশান্তি, ঈশ্বরের জন্য ব্যাকুল হৃদয়ের আত্মসমাহিত ভাব, জীবে প্রেম, মন্দির ও তার প্রাঙ্গণ যেন এই সব মহৎ গুণ আমাদের চিত্তে জাগিয়ে তোলে কাল থেকে কালান্তরে। তবেই প্রতিদিন আর অনাগত কালেও অযোধ্যার রামমন্দির হয়ে উঠবে আধুনিক, হয়ে উঠবে আধুনিক ভারতের রাষ্ট্রমন্দির।

গৌতম কুমার মণ্ডল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.