দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একাধিক বিতর্কের মাঝেই সোমবার বৈঠকে বসছে ভারত ও নেপাল। নেপালে চলা ভারতের একাধিক প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। সীমান্ত সমস্যা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দেশ।
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুইদেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। তবে এই বৈঠকে থাকবে না সীমান্ত সমস্যার মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। নেপালের উন্নয়নমূলক প্রকল্প, যাতে ভারতেরও অংশীদারিত্ব রয়েছে, কথা হবে সেগুলির কাজের অগ্রগতি নিয়ে।
এই বৈঠকে থাকবে নেপালে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কাটরা ও নেপালের বিদেশ সচিব শঙ্কর দাস বৈরাগী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ফোনে কথা বলার পরেই এই বৈঠক হতে চলেছে।
১৫ই অগাষ্ট ফোনে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান নেপালের প্রধানমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতি নিয়েও দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে কথা হয়। ১০ মিনিট ধরে কথা হয় তাঁদের মধ্যে। তবে বিতর্ক মেটেনি।
কটানা সংঘাত চলছে। কখনও সীমান্তে সেনা মোতায়েন, কখন ভারতের এলাকাকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত দেখিয়ে বিতর্কিত ম্যাপ তৈরি, কখনও রাম জন্মভূমি নেপালে অবস্থিত বলে বিতর্ক তৈরি। একটার পর একটা সংঘাতে ক্রমশ খারাপ হয়েছে ভারত নেপাল সম্পর্ক।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষ্যে ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক-উন্নয়ন মূলক সম্পর্ক দৃঢ় করতেই এই বৈঠকের আয়োজন। তবে এই পরিস্থিতিতে ভারত নেপাল বৈঠক কূটনৈতিক দিক থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত চিনের ছত্রছায়ায় থেকে ভারতের সঙ্গে শত্রুতার মনোভাব রাখা নেপালের সাথে এই প্রথম একাধিক সংঘাতের পর বৈঠক। দ্বিতীয়ত এই বৈঠক থেকে চিনকেও শিক্ষা দেওয়া লক্ষ্য ভারতের।
ইন্ডিয়া টুডের এক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে কবে বৈঠক হবে, সেই বিষয়ে দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রকই উদ্যোগী হয়ে কথাবার্তা বলে।দুই দেশই সম্মত হয় ১৭ তারিখ বৈঠক করতে।
মনে করা হয়েছিল প্রতিক্ষিত এই বৈঠকে উঠে আসতে পারে ভারত নেপাল সীমান্ত সমস্যার বিষয়। লিপুলেখ,কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরাকে নিজেদের এলাকাভুক্ত দেখিয়ে বিতর্কিত ম্যাপ প্রকাশের পর এই প্রথম বৈঠকে দুই দেশ। তবে সীমান্ত সমস্যা সম্ভবত এবারের বৈঠকে জায়গা পাবে না বলেই খবর।