বদলি নিয়ে জটিলতার জের, প্রশাসনিক কর্তার উপর অ্যাসিড হামলায় অভিযুক্ত মহিলা কর্মী

বদলি নিয়ে জটিলতা বেশ কয়েক বছরের। তার জেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন মালদহের এক গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীসেই পরিস্থিতিতে সমাধান চাইতে এসে প্রশাসনিক কর্তার উপ অ্যাসিড হামলার অভিযোগ উঠল মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর ছোঁড়া অ্যাসিডের শিশি ঠিক নিশানায় তাক না করায়, বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছেন জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক (ADM)। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধেবেলা মিতা মুখোপাধ্যায় নামে ওই মহিলা মালদহ জেলা পরিষদের কার্যালয়ে ঢুকে সোজা চলে যান এডিএম বিকাশ সাহার ঘরে। তাঁর বদলির অর্ডার হওয়া সত্ত্বেও কেন তা আটকে রয়েছে, তার জবাবদিহি চান বিকাশবাবুর কাছে। মিতাদেবী অভিযোগ করেন, এডিএমই তাঁর বদলি আটকে দিচ্ছেন। এডিএম তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে ওই বিষয়টি তাঁর আওতাধীন নয়। অন্যত্র গিয়ে কথা বলতে হবে। এরপর বাদানুবাদ চরমে উঠলে মিতাদেবী মেজাজ হারিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন বলে অভিযোগ। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন দপ্তরের মহিলা কর্মীরা। অভিযোগ, তখনই ওই মহিলা ব্যাগ থেকে অ্যাসিডের শিশি বের করে এডিএমকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দেন। তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান এডিএম বিকাশ সাহা। এই ঘটনায় শুক্রবার সন্ধেয় রীতিমত আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়।


মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বিকাশ সাহা বলেন, “আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানিয়েছি। এখনও পুলিশের কাছে এফআইআর করিনি। প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।” জানা গিয়েছে, মিতা মুখোপাধ্যায় নামে ওই মহিলার বাড়ি মালদহ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি কর্মরত বাংগীটোলা পঞ্চায়েতে। বছর কয়েক আগে সাহাপুর পঞ্চায়েতে বদলির আদেশ হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রশাসনের কর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তবু বদলির সমস্যা মেটাতে পারেননি। এরপর তাঁর ধারণা হয় যে এডিএম বিকাশ সাহার কারণেই তিনি কাজে যোগ দিতে পারছেন না। তাই আক্রোশের বশে এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিকাশ সাহার অভিযোগ, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এমন হামলা চালিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.