বিজ্ঞানীরা সবুজ সংকেত দিলেই করোনার ভ্যাকসিন পাবে প্রত্যেক ভারতীয়, ঘোষণা মোদির

প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনতা দিবসের সকালেই দেশের মাটিতে তৈরি প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের কথা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হল না। তবে, লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে হতাশ করলেন না প্রধানমন্ত্রী। ঘোষণা করলেন, এই মুহূর্তে ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রায়ালে আছেআর বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত মিললেই, তা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী, করোনার এই সংকট কোনওভাবেই ভারতের আত্মনির্ভরতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। বললেন, করোনা বড় বিপত্তি। কিন্তু এত বড় নয়, যেটা কিনা আত্মনির্ভর ভারতের শপথকে টলিয়ে দিতে পারে।

করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত ভারত। ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন। স্বাধীনতা দিবসে তাই করোনা নিয়ে কি বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী, সেদিকে নজর ছিল গোটা দেশের। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন নিয়ে খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারলেও তাঁর বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। মোদি বুঝিয়ে দিলেন, শুধু ভ্যাকসিন (CoronaVirus) তৈরির অপেক্ষা। একবার তৈরি হয়ে গেলেই, দেশের মাটিতে ব্যাপক হারে উৎপাদন এবং প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী বললেন,”দেশে এই মুহূর্তে তিনটি ভ্যাকসিন টেস্টিংয়ের আলাদা আলাদা পর্যায়ে আছে। বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত পেলেই বিপুল হারে উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনাও প্রস্তুত করে ফেলেছে সরকার।” উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। অক্সফোর্ড এবং জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনও শীঘ্রই হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করবে। এই ভ্যাকসিনগুলি নিয়েই আশাবাদী মোদি।


করোনা মহামারী যে দেশবাসীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে, এদিন সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন মোদি। এবছর করোনার প্রকোপে প্রথা ভেঙে লালকেল্লায় শিশুদের উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেটা যে প্রধানমন্ত্রীকে ব্যথিত করেছে, সেটা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। মোদি বললেন,”আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমি আমার সামনে আজ ছোট ছোট শিশুদের দেখতে পাচ্ছি না। করোনা সবাইকে থামিয়ে দিয়েছে। এই কঠিন সময়ে করোনা যোদ্ধারা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেবাই পরম ধর্ম। আমি করোনা যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.