সাইবার যুদ্ধ দক্ষতাগুলিকে জোরদার করার সাথে সাথে ভার্চুয়াল বিশ্বে নিজেদের একটি দুর্দান্ত উপস্থিতি প্রমাণ করতে , ভারত এই সপ্তাহেই একটি বড় সাইবার যুদ্ধ সম্পর্কিত অনুশীলন , ‘সাইবারএক্স’ (‘Cyberex’) এর আয়োজন করতে চলেছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখাকে এই অনুশীলনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস ।
সমন্বিত প্রতিরক্ষা কর্মীদের দুই দিনের অনুশীলনে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয় (এনএসসিএস), ভারতীয় কম্পিউটার জরুরী প্রতিক্রিয়া দল (সিইআরটি-ইন), জাতীয় তথ্য কেন্দ্র (এনআইসি), জাতীয় প্রযুক্তিগত গবেষণা সংস্থা (এনটিআরও), প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও), এবং কম্পিউটার সিকিউরিটি রিসোর্স সেন্টার (সিএসআরসি) এতে অংশগ্রহণ করছে বলে জানা গেছে।
সামরিক এবং জাতীয় পর্যায়ে সাইবার আক্রমণ ঘটলে একটি সমন্বিত প্রতিক্রিয়া জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি মূল্যায়ন, পরবর্তী পদক্ষেপন, ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অনুসন্ধান করার লক্ষ্য নিয়ে ‘সাইবারএক্স’ (‘Cyberex’) এর আয়োজন। এ ধরনের অন্যান্য প্রচেষ্টার পাশাপাশি অনুশীলনের মাধ্যমে স্থল, সমুদ্র, আকাশ এবং মহাকাশ এই প্রথম চারটি “বাস্তব” যুদ্ধক্ষেত্রের পর পঞ্চম মাত্রার যুদ্ধচ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলচনা হবে।
যুদ্ধের এই নবতম বিন্যাসে ভারতের দেরিতে প্রবেশ এবং একটি প্রতিষ্ঠিত সামরিক সাইবার কমান্ডের অভাবের কারণে প্রতিবেশী চীন এবং তার সাইবার যুদ্ধের দক্ষতাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হবে।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলি একটি ছোট ডিফেন্স সাইবার এজেন্সি (ডিসিএ) প্রতিষ্ঠা করছে তিন বাহিনীর ব্যবহারের জন্য। যা প্রতিরক্ষা তথ্য নিশ্চিতকরণ এবং গবেষণা সংস্থার আধুনিকীকরণ কে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং প্রয়োজনে বাইরে থেকে অসামরিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যও নেওয়া হবে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন নৌবাহিনীর অফিসার।
সংস্থাটি “আত্মরক্ষামূলক” সাইবার ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করার পাশাপাশি “আপত্তিকর” বিষয় গুলি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অধীন অন্যান্য সংস্থাগুলিকে ছেড়ে দেবে।
অন্যদিকে, চীন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক সম্পদ এবং কৌশলগত নেটওয়ার্কগুলিকে খর্ব বা ধ্বংস করতে সাইবার নিজেদের সাইবার অস্ত্রগুলি আধুনিকীকরণ করে চলেছে। যা শক্তি ক্ষেত্র, ব্যাঙ্কিং পরিষেবা, পরিবহন এবং যোগাযোগ গ্রিডগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে। পিপলস লিবারেশন আর্মির স্পেস, সাইবার এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধায়োজন অপারেশনের তত্ত্বাবধানে দেশটির হ্যাকার গোষ্ঠীর পাশাপাশি একটি কৌশলগত সহায়তা বাহিনী রয়েছে।