শেষ হয়ে গিয়েছিল ভোট দানের সময়সীমা। তারপরেও চলছিল ছাপ্পা। যা নিয়ে কার্যন্ত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ভোট গ্রহণ কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা।
ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের জামালপুরের তেলেনুড়ি গ্রামের ৭৭ ও ৭৮ নং বুথের। বিকেলের ভোট গ্রহণের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ওই বুথে ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বুথের মধ্যে দরজা জানালা বন্ধ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, এদিন ভোট মিটে যাবার পর স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা বুথের মধ্যে ঢুকে পড়ে বুথের আলো নিভিয়ে দিয়ে ব্যাপক হারে ছাপ্পা দিতে শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা প্রতিবাদ করলে তৃণমূল সমর্থকরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
সেই সময় কর্তব্যরত আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা দুপক্ষকে নিরস্ত করে ব্যাপক হারে লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠিচার্জের হাত থেকে রক্ষা পায়নি মহিলারাও। এরপরই শুরু হয় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। আধা সামরিক বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রামবাসীরা ইঁট পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করলে পাল্টা আধা সামরিক বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে শুরু করেন। শুরু হয় ব্যাপক উত্তেজনা।
এই ঘটনায় কয়েকজনকে আধা সামরিক বাহিনী এবং জামালপুর থানার পুলিশ আটক করেছে। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে, গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে এই ঘটনায়। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ছাপ্পার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
গত বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে রাজ্যের সমস্ত প্রান্তে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নদিয়া জেলার একটি ঘটনা নজর কেড়েছিল গোটা দেশের। ভোট গণনা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে দেখা যায় এক তৃণমূল কর্মীকে। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল। সোমবার সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের চত্রুত্থ দফায় যে সেই ঘটনাটিকেই আরও একবার মনে করিয়ে দিল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর।