গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর শাসন কালে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে এরাজ্যে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১০০ এর বেশি হত্যা দেখেছে এরাজ্যের মানুষ। এবার আধা সামরিক বাহিনী থাকার জন্য হত্যালীলা না চালাতে পারলেও, গণতন্ত্রের গলা টিপে হত্যা করার কাজ মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে তৃণমূল ভালই করেছে। গোটা দেশে লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু একমাত্র বুথ দখল, সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোট, বিরোধীদের মারধরের ঘটনা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ঘটছে। এমনকি দেশের সবথেকে অশান্ত প্রদেশ, কাশ্মীরেও শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। শান্তির দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা শুধু পশ্চিমবঙ্গেই।আর চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি অশান্তি ছড়িয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে। অনুব্রতর উপরে কমিশনের নজরদারি থাকা স্বত্বেও শান্তিপূর্ণ ভোট করানো গেলনা বীরভূমে। ভোট শেষ হওয়ার আগেই বীরভূমের বিভিন্ন বুথে দাবি উঠছে পুনরায় নির্বাচনের।
চতুর্থ দফার ভোটে বীরভুম জেলার বোলপুরের আউশগ্রামের উক্তা গ্রামে 66 নম্বর বুথের মেটেপাড়াতে প্রায় 300 জন ভোটারকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ওই বুথে কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা বিজেপির এজেন্ট তাপস হালদারকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
বিজেপির বুথ এজেন্ট তাপস হালদার অভিযোগ করে জানান, সকালে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তৃণমূলের গুণ্ডারা দল বেঁধে এসে তাঁকে বুথ থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে। সে রাজি না হওয়ায় তাঁকে চরম মারধর করে তৃণমূলের গুণ্ডারা। তাঁকে বুথ থেকে বের করে তৃণমূলের গুণ্ডারা অবাধে ছাপ্পা চালায়।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে জানায়, সকালে ভোট দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূলের গুণ্ডারা তাঁদের রাস্তা আটকে ভোট দিতে যেতে বাধা দেয়। পরে তাঁরা কয়েকজনকে জড় করে যখন বুথের দিকে রওনা দেয়, তখন তৃণমূলের গুণ্ডারা তাঁদের উপর আক্রমণ করে। পুলিশের সামনে এসব ঘটলেও, পুলিশ নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তৃণমূলের গুন্ডামির ফলে, ওই বুথে ৩০০ এর বেশি ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ।