রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচনে চারিদিক থেকে নানারকম অশান্তির খবর আসছে। এতক্ষণ তৃণমূলের নেতারা এবং তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে বিরোধী সমেত ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ আসছিল। কিন্তু এখন তৃণমূলের গুণ্ডারা মিডিয়াকেও মারধর করা শুরু করে দিয়েছে। আজ চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ চলাকালীন তৃণমূলের গুণ্ডারা Aajtak এর টিমের উপর হামলা করে। Aaj tak এর মহিলা সাংবাদিক Manogya Loiwal কে তৃণমূলের গুণ্ডারা ধরে মারধর করে। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় TMC থেকে কোন বয়ান আসেনি।Manogya Loiwal বলেন, জামুরিয়া থেকে খবর আসছিল যে, সেখানে বিজেপি আর তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেছে। সেখানে পোলিং বুথে বিজেপি কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা। বাবুল সুপ্রিয় সেখানে গেলে, Aajtak এর টিম ওনার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে।
বাবুলের সাথে কথা বলার সময়ই পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূলের কর্মীরা গালা-গালি দিতে শুরু করে দেয়। তারপর তাঁরা, বাবুল সুপ্রিয়কে মারারও চেষ্টা করে, বাবুল সুপ্রিয়র ওপর পাথর দিয়ে হামলা চালায়। তৃণমূলের কর্মীরা তখনই Aajtak এর টিমকে ঘিরে নিয়ে জিজ্ঞাসা করে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করার জন্য আপনারা কত টাকা নিয়েছেন?
Aaj tak এর মহিলা সাংবাদিক জানান, ‘যখন তিনি বাবুল সুপ্রিয়কে ভোট সমন্ধ্যে জিজ্ঞাসা করছিলেন, তখন পিছন থেকে তৃণমূলের কর্মীরা ওনার সাথে অশ্লীললতা করে। তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বেশিরভাগই মুখে কাপড় বেঁধে ছিল। ওঁরা রোদ থেকে বাঁচার জন্য না, নিজের মুখশ্রী লোকানর জন্যই মুখে কাপড় বেঁধে ছিল।” Aajtak এর মহিলা সাংবাদিক জানান, যেখানে তৃণমূলের সন্ত্রাস দেখানোর চেষ্টা করছে সংবাদ মাধ্যম, সেখানেই তৃণমূলের কর্মীরা মিডিয়ার উপরে আক্রমণ করছে।
Aajtak মহিলা সাংবাদিক বলেন, ‘এর আগে তৃণমূলের কর্মীরা শুধু বিরোধীদের মারছিল। কিন্তু এখন তাঁরা মিডিয়াকেও ছাড়ছে না। আমাকে মেরেছে, আমার ক্যামেরাপার্সন তাপসকেও মেরেছে তৃণমূলের কর্মীরা। এমনকি আমরা ওখান থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইলে, ওঁরা আমদের পিছু নেয় মারার জন্য।”
Aaj tak এর মহিলা সাংবাদিক বলেন, মমতা ব্যানার্জীকে মিডিয়াই এত বড় করেছে। ২০০৫-০৬ সালে নন্দীগ্রাম আর সিঙ্গুরে মমতা যখন অনশন করছিল, তখন আমি সেখানে রিপোর্টিং করছিলাম। তখন মমতা ক্ষমতায় ছিলনা। কিন্তু এখন মমতা ক্ষমতায় এসে বদলে গেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোন খবর দেখালেই তৃণমূলের গুণ্ডারা তাঁদের উপর আক্রমণ করছে।”