আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় (Arindam Ganguly)। দীর্ঘদিন ধরেই ফোরামের অন্দরে গোলযোগ চলতে থাকায় প্রথমটায় ধরে নেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্যার কারণেই হয়তো ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন অরিন্দম। তবে না, অভিনেতার শারীরিক অসুস্থতাই এখানে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার থেকে অরিন্দমের কাজ এবং দায়িত্ব সামলাবেন ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় (Shantilal Mukherjee)।
বহুদিন ধরেই শিঁড়দাড়ার সমস্যায় ভুগছিলেন অরিন্দম। জুন মাসে অপারেশনও হয়। এর পরই চিকিৎসক তাঁকে সমস্ত শারীরিক এবং মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেয়। তা ফোরামকে জানানো হলে, সভাপতি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় খোদ অরিন্দমের যাবতীয় দায়িত্ব শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন। ফোরামের পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া অবধি এই কার্যভার চালাবেন তিনিই। যদিও এই বিষয়ে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় নিজে কিছু জানাননি। তবে শান্তিলালের কথায়, প্রথমে অরিন্দমকে মাস খানেক ছুটিতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেটা সম্ভব না হওয়ার কারণেই অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই ইস্তফা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কমিটিতে কোনও বদল আসেনি। ফোরামে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শংকর চক্রবর্তী, কুশল চক্রবর্তী, সোনালি চক্রবর্তী, জিৎ, সোহম, জুন মাল্য অনেকেই রয়েছেন। শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে না পারলেও বুদ্ধি-পরামর্শ দেবেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। সবার পরমার্শ নিয়ে আগেও যেভাবে কাজ হত, তার অন্যথা এখনও হবে না, জানিয়েছেন শান্তিলাল খোদ। অন্য দিকে আর্টিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি শংকর চক্রবর্তী জানান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ই শান্তিলালের নাম সাজেস্ট করেন। সবার সমর্থনেই আগামী ২ বছর সম্পাদকের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়।
নতুন দায়িত্ব পেয়েই আরও উদ্যেমের সঙ্গে কাজে নেমে পড়েছেন শান্তিলাল। করোনা প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে ইতিমধ্যেই চ্যানেল এবং প্রযোজকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসার অনুরোধ জানানো হয়েছে আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে। সরকারি নির্দেশ মেনে ৫দিন কাজ হওয়ায় চাপ বেড়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তর আর চিকিৎসকদের নির্দেশ মোটেই অমান্য করা যাবে না। এমতাবস্থায় সবদিক বজায় রেখে কীভাবে সুরক্ষিতভাবে কাজ চালানো যায়, সেটাই ফোরাম ভেবে দেখছে বলে জানান শান্তিলাল।