হাওড়া কোর্টের আইনজীবী এবং হাওড়া কর্পোরেশনের অস্থায়ী কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপরি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই হাওড়া কাণ্ড নিয়ে মামলার শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, গত বুধবারের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি, হাওড়া কোর্টের জজ এবং হাওড়ার পুলিশ সুপারকে ব্যক্তিগত হলফনামা জমা দিতে হবে। আগামী বুধবারের মধ্যে জমা দিতে হবে এই হলফনামা। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি।
এ দিন হাওড়া কাণ্ড খতিয়ে দেখার জন্য একটি বিচারবিভাগীয় কমিটিও গঠন করে দেয় প্রধান বিচারপরতির বেঞ্চ। সেই সঙ্গে আইনজীবীদের কাছে আদালত আবেদন করেছে, স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করার জন্য।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে সন্ধে সাড়ে পাঁচটা। সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে উকিল-পুরকর্মী সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ফিরে যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। আইনজীবীরা ঘিরে থাকেন কর্পোরেশন দফতর। দফায় দফায় চলে ইটবৃষ্টি। কর্পোরেশনের ভিতর আটকে পড়েন কয়েক হাজার কর্মী। অসংখ্য সাধারণ মানুষ যাঁরা পুর দফতরে নিজেদের কাজের জন্য এসেছিলেন, তাঁরাও আটকে পড়েন। কর্পোরেশনের দুটি গেটই অবরুদ্ধ করে রাখেন আইনজীবীরা।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ। কর্পোরেশনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের নতুন গেটের সামনে এক আইনজীবীর গাড়ি পার্ক করা ছিল বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, কর্পোরেশনের অস্থায়ী কর্মীদের কেউ সেই গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এর পর খবর যায় কোর্টে। উকিলরা ঢুকে পড়েন কর্পোরেশনে। পুরকর্মীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় আইনজীবীদের। রক্তাক্ত হন বেশ কয়েক জন আইনজীবী।
পরের দিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন আইনজীবীরা। স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা রাজ্যের আদালত। বার কাউন্সিল জানিয়ে দেয় সোমবার পর্যন্ত চলবে কর্মবিরতি। এ দিন বিকেলে ফের বৈঠকে বসার কথা বার কাউন্সিলের। সেখান থেকেই ঠিক হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।